প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে দেওয়া মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছে সরকার, ফলে তার পুরস্কার পুনর্বহাল করা হয়েছে। পাশাপাশি, এ বছর জাতীয় পর্যায়ে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সাতজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। মনোনীতদের মধ্যে ছয়জনকে মরণোত্তর এ সম্মাননা দেওয়া হবে, একমাত্র জীবিত মনোনীত ব্যক্তি হলেন শিক্ষা ও গবেষণা ক্যাটাগরিতে বদরুদ্দীন উমর। তবে তিনি পুরস্কার গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত আগেই জানিয়েছেন।
এবার নতুন একটি ক্যাটাগরি, ‘প্রতিবাদী তারুণ্য,’ যুক্ত করা হয়েছে, যেখানে মরণোত্তর পুরস্কার পাচ্ছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ, যিনি ছয় বছর আগে ছাত্রলীগ কর্মীদের নির্যাতনে নিহত হয়েছিলেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম, সাহিত্যে কবি মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (আল মাহমুদ), সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ, সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ, মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান (আজম খান) মরণোত্তরভাবে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০০৩ সালে জিয়াউর রহমানকে দেওয়া স্বাধীনতা পুরস্কার ২০১৬ সালে বাতিল করা হলেও, সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট রায়ে পুরস্কার বাতিলের কোনো নির্দেশনা ছিল না। মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান বিবেচনায় নিয়ে এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হয়েছে এবং তার স্বাধীনতা পুরস্কার পুনর্বহাল করা হয়েছে।
এদিকে, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এমএজি ওসমানীকে এবার স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হতে পারে বলে গুঞ্জন থাকলেও সরকারি সূত্র জানিয়েছে, তিনি ইতোমধ্যে ১৯৮৫ সালে এ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে এ পুরস্কার প্রদান করে আসছে। পুরস্কারপ্রাপ্তদের পাঁচ লাখ টাকা, স্বর্ণপদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।