চলছে সিয়াম-সাধনা ও সংযমের মাস রমজান, এরই মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার সাইফুল বাতেন টিটো নামক জনৈক ফেসবুকার তার নিজের টাইম লাইনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) ও তার প্রিয়তমা স্ত্রী উম্মুল মুমিনিন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ)কে কটূক্তি করে একটি পোস্ট দেন, যেখানে লেখা ছিল: ৮ বছরের আছিয়া ধর্ষণের ধকল সহ্য করতে না পেরে মারা গেল। এবার চিন্তা করুন ৯ বছরের আয়েশা (রাঃ)’র কী অবস্থা হয়েছিলো!
মাগুরার আট বছরের শিশু আছিয়া তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে বোনের শ্বশুর কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়ে গতকাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। তার মৃত্যুতে যখন ক্ষোভে ফেটে পড়েছে দেশবাসী এবং সোচ্চার হয়ে উঠেছে ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে, তখন নবী অবমাননা করে জনগণের ক্ষোভের দিক যেন অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিলেন এই ফেসবুকার।
সম্প্রতি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কে কবি সোহেল হাসান গালিবের অবমাননামূলক কবিতার পর ফেসবুকে আল্লাহকে নিয়ে কটূক্তি করে জনরোষের শিকার হন রাখাল রাহা। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও নবী অবমাননার এই ঘটনা ঘটল।
একসাথে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) ও উম্মুল মুমিনিন হযরত আয়েশা (রাঃ)কে নিয়ে এহেন কটূক্তিমূলক পোস্টের প্রতিবাদে ফেটে পড়েন ধর্মপ্রাণ নেটিজেনরা। তার পোস্টের কমেন্টবক্সে মো. সুলতান মাহমুদ নামে জনৈক ফেসবুকার তার ঠিকানা জানতে চাইলে তিনি রিপ্লাই দেন: প্লট-সি ৭০, রোড নং: ৩, ব্লক-সি, আফতাবনগর, ঢাকা-১২১২।
কিছুক্ষণপর আবার রিপ্লাই করে তিনি বলেন, কখন আসবিরে ভাই? আমি আবার বিকেলের দিকে একটু শাহবাগ যাব।
এই পোস্ট দেওয়ার পর অনেক ধর্মপ্রাণ নেটিজেন অসংযত হয়ে পড়েন এবং নিজ নিজ টাইমলাইনে কঠোর ভাষায় প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।
হঠাৎ করে নবী অবমাননার ঘটনা বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে সচেতন মহল দায়ী করছেন বিচারহীনতাকে। এদেশে আলেমদের একটি বড় অংশ দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানের মতো হেটস্পিচ বিরোধী আইন (ব্লাসফেমি আইন) করার দাবি জানিয়ে আসছেন, যেন কোনো ব্যক্তি কোনো ধর্মকে অবমাননা করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। রাখাল রাহা ইস্যুতে এই দাবিতে সম্প্রতি আবারও সোচ্চার হয়েছিলেন আলেম সমাজ। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া না মেলায় এই আইন অদ্যাবধি বাস্তবায়িত হয়নি বিধায় অনেকে সাহস পেয়ে যাচ্ছেন এবং আল্লাহ-রাসুলকে নিয়ে কটূক্তিকর মন্তব্য করছেন বলে আলেমদের ধারণা।