
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মমতাজউদ্দিন অ্যাকাডেমিক ভবন, বিজয়-২৪ হল, জুলাই-৩৬ হলে জনসংযোগ করেন তারা। পর্যায়ক্রমে আগামী ২৮ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন হল, অনুষদ বিভাগগুলোতে জনসংযোগ করবে রাবি সংস্কার আন্দোলন।
শিক্ষার্থীদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো, ক্যাম্পাসে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারকে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল হিসেবে কার্যকর, প্রশাসনিক সকল কার্যক্রম ডিজিটাল ও অনলাইনভিত্তিক করা, হলের ডাইনিংয়ে পর্যাপ্ত ভর্তুকি প্রদান, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের অবকাঠামো ও প্রযুক্তিগত সংস্কার, পূর্ণাঙ্গ টিএসসিসি কার্যকর এবং অনতিবিলম্বে রাকসুর পূর্ণাঙ্গ তফসিল ঘোষণা করা।
কর্মসূচিতে রাবি সংস্কার আন্দোলনের সংগঠক সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, একটা রাষ্ট্রে বিপ্লবের পরে প্রতিটা জনগণের যেমন আকাঙ্ক্ষা থাকে ঠিক তেমনি একটা ক্যাম্পাসেও প্রশাসনের কাছে শিক্ষার্থীদের কিছু আকাঙ্ক্ষা থাকে। সেই জায়গায় থেকে আমারা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারের জন্য আন্দোলন করছি। বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে ক্যাম্পাসে নানা সংকট ছিল। আমরা সেটার আমূল পরিবর্তন চাই।
তিনি আরো বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়স ৭২ বছর। অথচ আমাদের আবাসিকতা মাত্র ৩৬ শতাংশ। রোলসহ খাতা মূল্যায়নের কারণে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার হয়, স্বজনপ্রীতি হয়। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার অভাব, সন্ধ্যার পর আমাদের বোনেরা চলাচল করতে ভয় পায়। এসব কারণেই আমরা ৯ দফা দাবিতে লিফলেট বিতরণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু করেছি। যৌক্তিক ৯টি দফা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন কর্মসূচি চলবে।
উল্লেখ্য, আগামী রোববার (২৮ জুন) মধ্যে বাস্তবায়নযোগ্য দাবিগুলো বাস্তবায়ন ও অন্যান্য দাবিগুলো বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে, আগামী সোমবার (২৯ জুন) থেকে ‘মার্চ ফর আওয়ার রাইটস’ নামে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন রাবি সংস্কার আন্দোলন।