২৯ জুলাই ২০২৫
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল জানান, হামলার শিকার ২২টি পরিবারের মধ্যে বর্তমানে ১৯টি পরিবার তাদের নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে। অভিযুক্ত রঞ্জন কুমার রায়, তার চাচা এবং তাদের পরিবার পার্শ্ববর্তী গ্রামে আত্মীয়দের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ ব্যবস্থাপনায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘরগুলোর মেরামত কাজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) থেকে শুরু হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গত পরিবারগুলোর পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
রংপুরের পুলিশ সুপার মো. আবু সাইম জানান, হামলায় ১২টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যেখানে ২২টি পরিবার বসবাস করত। রঞ্জন আটক হওয়ার পর থেকেই তার আত্মীয়স্বজন অন্যত্র সরে গেছেন। তবে অন্যান্য ১৯টি পরিবারের পুরুষ সদস্যরা নিজ ঘরেই রয়েছেন। ঘর ভাঙার কারণে কিছু নারী সদস্য মালামাল নিয়ে আশপাশের এলাকায় চলে গেছেন।
তিনি জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নেতৃবৃন্দ প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে এলাকার সম্প্রীতি রক্ষায় কাজ করছেন। মেরামতকাজ শেষ হলে সবাই তাদের বাড়িতে ফিরবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।