কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ৮ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ।
জানা যায়, রোববার (২৩ মার্চ) দুপুরে উপজেলার উত্তর ভরতের ছড়া গ্রামের জনৈক নুর ইসলামের বাড়ির সামনের জমিতে ৮ বছরের এক শিশুকন্যা ঘাস কাটতে গেলে সাইম (৫২) তাকে কৌশলে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে ঘাস কাটা শিখিয়ে দেওয়ার ভান করে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
একপর্যায়ে শিশুটির চিৎকারে গ্রামবাসী ছুটে এলে অভিযুক্ত সাইম পালিয়ে যায় এবং গ্রামবাসী শিশুটিকে ছিন্নবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করে।
পরদিন ২৪ মার্চ সোমবার ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে ভূরুঙ্গামারী থানায় সাইমের নামে মামলা রুজু করে।
অভিযুক্ত সাইম একই গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলীর পুত্র।
পরে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমানের সার্বিক দিকনির্দেশনায় অভিযুক্ত সাইমকে গ্রেপ্তার করে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আল-হেলাল মাহমুদ বলেন,
পুলিশ সুপার (কুড়িগ্রাম) মহোদয়ের সার্বিক তদারকিতে নারী ও শিশুদের প্রতি যেকোনো ধরনের সহিংসতা, নির্যাতন ও ধর্ষণ প্রতিরোধে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে।
আরও পড়ুনঃ
স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের মামলায় চার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বাউফলে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার
গ্রেফতারকৃত আসামী সাইমকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এই মামলার তদন্ত দ্রুত সম্পন্ন করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
তারা দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন এবং এ ধরনের অপরাধ রোধে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন।
শিশুটির পরিবার জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকে সে মানসিকভাবে ভীষণ ভীত ও আতঙ্কগ্রস্ত রয়েছে।
শিশুটির শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, মানবাধিকার সংগঠন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
তারা বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
ভূরুঙ্গামারী থানার পুলিশ জানায়, মামলাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দ্রুত চার্জশিট দেওয়া হবে।