চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার (তারিখ উল্লেখ করুন) ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোস্তাক আহমদ এ পরোয়ানা জারি করেন।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিরা হলেন—বাঁশখালীর ইলশা গ্রামের কাজী নুর মোহাম্মদের ছেলে কাজী শহীদুল ইসলাম (২৫), কাথরিয়ার হালিয়া পাড়ার মিজানের ছেলে জোবাইর (২৩), জামালের ছেলে আজম (২৫) ও ছনুয়া এলাকার আবু শামার ছেলে তৌহিদ (৩০)।
স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের মামলার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১১ জুলাই বাঁশখালীর কাথরিয়ার হালিয়া পাড়া এলাকায় একটি ঝাউবাগানে নবম শ্রেণির এক পিতৃহীন স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়। অভিযুক্তদের নেতৃত্বে ছিলেন কাজী শহীদুল ইসলাম। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে গড়িমসি করে, পাশাপাশি অভিযুক্তরা বাদীকে হত্যার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ উঠে।
এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক, চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রাজজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর নাছির উদ্দিন জানান, ঘটনা প্রকাশের পর তিনি চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেন। আদালত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন চেয়ে আদেশ দেন। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার চার আসামির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।