২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় তৎকালীন বিডিআরদের একটি গ্রুপ দ্বারা সংগঠিত বিদ্রোহ এবং হত্যাকাণ্ড পিলখানা হত্যাকান্ড বা বিডিআর বিদ্রোহ নামে পরিচিত। ‘বিডিআর বিদ্রোহ’ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় তৎকালীন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহী জওয়ানদের সেই হামলায় নিহত হন ৫৭ সেনা কর্মকর্তা। এতদিন এই হামলার কারণ হিসেবে যে বয়ান দাঁড় করানো ছিল তা হলো মূলত বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, রেশন সুবিধা, শান্তিরক্ষী মিশনে পাঠানো এবং সেনাবাহিনীর অধীনে না থেকে স্বতন্ত্রভাবে পরিচালিত হওয়ার সুযোগ এর জন্য এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছিল। কিন্তু আজ ২৬ তারিখ রাত আনুমানিক ১০.১৫ এর দিকে সাংবাদিক ইলিয়াস তার ভেরিফায়েড ইউটিউব চ্যানেল থেকে যে ভিডিও প্রচার করেন তাতে বদলে যাচ্ছে ইতিহাস। ইলিয়াসের সেই ভিডিও থেকে বোঝা যায় এই হত্যাকান্ডের মূল মাস্টারমাইন্ড ছিল ভারত এর গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’। সাবেক খুনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে ছিলেন তৎকালীন সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদ, মেজর জেনারেল (অব.) তারেক সিদ্দিক, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম, শেখ ফজলে নূর তাপস এবং সেনাবাহিনী ও পুলিশের কিছু কর্মকর্তা সহ আরো অনেকে।
সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের সেই এক্সক্লুসিভ ভিডিওতে রয়েছে আরো কিছু বিশেষ দিক যা বিডিআর বিদ্রোহের তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দেবে বলে অনেকে মনে করছেন। এই ভিডিওর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এখানে প্রচলিত একপাক্ষিক ন্যারেটিভ, অর্থাৎ এরজন্য কিছু বিডিআর এর বিদ্রোহী জওয়ানদেরকে দায়ী করার যে বয়ান তা বদলে গেছে। কেবল বিডিআর নয়, এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ছিল সেনাবাহিনীরও কিছু অফিসার। সাম্প্রতিক সময়ে দেওয়া সেনাপ্রধানের এই সম্পর্কিত বক্তব্য যেন ইলিয়াসের এই ভিডিও এর পর চ্যালেঞ্জের মুখেই পড়ল।
সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের সেই ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন এখানে:শ্বা’সরু’দ্ধকর ৩৩ ঘন্টা ও পরের ১৬ বছরে যা ঘটেছে পিলখানায়