অপারেশন ডেভিল হান্ট চলছে। বাংলাদেশ পুলিশের একজন ডিআইজি এবং তিনজন পুলিশ সুপারকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে বিভিন্ন ইউনিটের অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পরে ঢাকার মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে (ডিবি) আনা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নীলফামারীর ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামানকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ শুক্রবার রাতে আটক করে। শনিবার দুপুরে তাকে ঢাকার ডিবি কার্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়।
একই রাতে রাজশাহী সারদা একাডেমিতে সংযুক্ত থাকা গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলামকেও আটক করা হয়। রাজশাহী জেলা পুলিশ একাডেমির সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় পাঠানো হয়।
রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান এবং আবুল হাসনাতকেও আটক করে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।
পুলিশ সূত্র জানায়, ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলাম গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার এবং ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে খুন, গুম, এবং অনৈতিক শক্তি প্রয়োগের অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত বাগেরহাটে কর্মরত থাকা অবস্থায় ২০২৪ সালের নির্বাচন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে বিতর্কিত ভূমিকার জন্য সমালোচিত হন।
এসপি আব্দুল মান্নান সিলেট এবং কুমিল্লায় কর্মরত থাকাকালীন নির্বাচন ও ছাত্র আন্দোলনে কঠোর শক্তি প্রয়োগ করেন। তার বিরুদ্ধে জঙ্গি নাটক সাজানোরও একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
অন্যদিকে এসপি আসাদুজ্জামান নোয়াখালীতে কর্মরত থাকাকালে ছাত্র আন্দোলন দমনে শক্তি প্রয়োগ এবং অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য সমালোচিত হন।
জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের পর আটক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। এরপর তাদের বিভিন্ন ইউনিটে সংযুক্ত রাখা হয়।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “ডিআইজি নজরুলসহ আটক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অপারেশন ডেভিল হান্ট এ আটক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরো পড়ুনঃ ২০০৮ সালের ঘটনার জেরে মুক্তিযোদ্ধা কানুকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ
Leave a Reply