অনলাইন প্রতারণায় নিঃস্ব শত শত পরিবার, নড়াইলে চার প্রতারক পুলিশের জালে - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না আওয়ামী লীগ: প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস হাসিনার ফাঁসির রায়ে শেকৃবিতে মিষ্টিমুখ ও আনন্দ মিছিল নষ্ট মোবাইল দান কর্মসূচিতে বেকার যুবকদের দক্ষতা উন্নয়নে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ সৌদি আরব বলেছে, “স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র” ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়কে স্বাগত জানিয়ে ছাত্রশিবিরের মিছিল হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে প্রতিক্রিয়া: ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়েছে দাবি হেফাজতে ইসলামের কুবিতে আইইএলটিএস প্রস্তুতি বিষয়ক ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত কুবিতে প্রোগ্রামিং ও সমস্যা সমাধান কর্মশালা অনুষ্ঠিত বুটেক্স হলগুলোতে মশার ভয়াবহ উপদ্রব, ডেঙ্গুতে বহু শিক্ষার্থী আক্রান্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘Allama Iqbal’s Theory of Khudi’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত

অনলাইন প্রতারণায় নিঃস্ব শত শত পরিবার, নড়াইলে চার প্রতারক পুলিশের জালে

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫
  • ১৭৯ বার দেখা হয়েছে

নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার রঘুনাথপুর ও যাদবপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে অনলাইনে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে শত শত পরিবারকে নিঃস্ব করার অভিযোগে চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা ডিবি পুলিশ। সোমবার (৭ জুলাই) সকাল থেকে আট ঘণ্টার অভিযান শেষে গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ছয়টি মোবাইল ফোন ও সিম জব্দ করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন—রঘুনাথপুর গ্রামের মো. শুকুর আলী মুন্সির ছেলে মো. মুসাব্বির মুন্সি ছিপাতুল্যা (২৮), যাদবপুর গ্রামের শেখ বাহার উদ্দিনের দুই ছেলে মো. নাজমুল হুসাইন (৩১) ও বাপ্পি হাসান অভি (২৭) এবং একই গ্রামের মো. আফসার মীনার ছেলে মো. রনি মীনা (৪১)।

ডিবি পুলিশের তথ্য মতে, তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলে। এরপর কোম্পানির এজেন্টদের মাধ্যমে অন্যের নামে রেজিস্ট্রেশনকৃত সিম ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়। অপরাধীরা তাদের অর্জিত অর্থ বিলাসবহুল জীবনযাপন, মাদকাসক্তি এবং অনলাইন গেমিং খাতে ব্যবহার করে।

গ্রেফতারকৃতরা স্বীকার করেছেন যে, তাদের এলাকাসহ আশপাশের অন্তত ১০ গ্রামের হাজারো পরিবার এই প্রতারণার শিকার হয়েছে। প্রতারণার শিকার অনেকেই জরুরি চিকিৎসার জন্য জমিয়েও রাখা অর্থ হারিয়ে দিশেহারা হয়েছেন। একজন ভুক্তভোগী নয়ন টিকাদার জানান, ২১ হাজার টাকা তুলে দিয়েও প্রতারকদের কাছ থেকে কোনো পণ্য পাননি। অন্য ভুক্তভোগী আহাদ বলেন, মোটরসাইকেলের নামে এক লাখ ৯৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হলেও পণ্য দেয়নি প্রতারকরা।

জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল ইসলাম জানান, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং প্রতারণা সংক্রান্ত মামলায় গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি সাধারণ জনগণকে অনলাইনে কেনাকাটায় সাবধান ও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন এবং প্রতারণা চক্র নির্মূলের জন্য নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT