তিনি বলেন, “মুজিবনগর সরকার ছিল একটি সাংবিধানিক সরকার, যা স্বাধীনতার পথনির্দেশনা দিয়েছে। এ সরকারের নাম পরিবর্তনের প্রশ্নই আসে না। ইতিহাস কখনো মোছা যায় না। ইতিহাসকে তার যথার্থ অবস্থানে রেখেই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা আমাদের দায়িত্ব।”
মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে সকালেই আম্রকাননে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে পতাকা উত্তোলন করেন উপদেষ্টা। এরপর পুলিশ, আনসার ও বিজিবির সমন্বয়ে গঠিত একটি দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো হয় স্বাধীনতার বীর সন্তানদের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, “মুজিবনগর সরকার কোনো প্রবাসী বা অস্থায়ী সরকার ছিল না, এটি একটি পূর্ণাঙ্গ সাংবিধানিক সরকার ছিল। এ সরকারের নেতৃত্বেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। ইতিহাসের ওপর কোনো কল্পিত তথ্য আরোপ করা চলে না।”
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নিয়ে তিনি বলেন, “সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরি করতে সরকার কাজ করছে। তবে কিছু মামলা আদালতে বিচারাধীন থাকায় তা বিলম্বিত হচ্ছে।”
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ভাস্কর্যগুলোর ক্ষয়ক্ষতি প্রসঙ্গে তিনি জানান, “স্মৃতিস্তম্ভ ও ভাস্কর্য ঘুরে দেখা হচ্ছে। যাচাই-বাছাই শেষে যথাযথভাবে সেগুলোর পুনঃস্থাপন করা হবে।”
এ সময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত জাহান, মেহেরপুর জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ এবং পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানমসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।