সম্প্রতি রিপাবলিকান বাংলার সিনিয়র এডিটর এবং হেড অফ ইনপুট ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ, যাকে নেটিজেনরা “হকার সাংবাদিক” হিসেবে চেনে, একটি ফেসবুক পোস্টর মাধ্যমে ঢাকায় অবস্থিত শহীদ মিনারটি কলকাতায় স্থানান্তরের আবদার করেছে।
তার পোস্টটি হুবহু উদ্ধৃত হলো:
”এই ২১ ফেব্রুয়ারি, বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলা প্রাঙ্গণে অবস্থিত শহীদ মিনারটি তুলে কলকাতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। ভাষা শহীদ, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ, তাদের স্মৃতি, স্মারক, তাদের বই, দলিল, তাদের উত্তরাধিকার অবিলম্বে কলকাতায় স্থানান্তরিত করার আবেদন জানাচ্ছি। কলকাতার বাঙালিরা বাংলাভাষাকে, তার ঐতিহ্যকে সুরক্ষিত রাখবে।
পশ্চিমবঙ্গ শুধু হি ন্দু বাঙালির নয়, বাংলা ভাষারও হোমল্যান্ড হিসেবে উঠে আসুক।
বাং লা দেশ নামেই শুধু বাং লা দেশ। আসলেও দেশটা উর্দুদেশ হয়ে গেছে। বাং লা দেশ আর বাং লা দেশ নেই! পূর্ব পাকিস্তান এর এটি।
এদের জন্য রফিক, জব্বার, শফিউর, সালাম, বরকত জান দেয়নি। এদের জন্য অভ্র ফন্ট আর অ্যাপ তৈরি হয়নি। এরা আরবি আর উর্দুকে আগলে ধরে বাংলাকে দূরে সরাচ্ছে।”
তার আবদারে বোঝা যাচ্ছে ভাষা আন্দোলনের পটভূমি তার জানা নেই। ইট পাথরের এই ডিজাইনটি কলকাতায় করার সামর্থ্য নেই, এখান থেকে তুলে নিতে হবে।
ময়ূখ তার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বোঝাতে চাইছে- বাংলা ভাষার ইতিহাস সংরক্ষণ করার সামর্থ্য নেই, এটা পশ্চিমবঙ্গ করতে পারবে।
যদিও ময়ূখ বরাবরই আলোচনার থাকার জন্য এইসব পোস্ট করে থাকে। তাই এসব দাবী নেটিজেনরা হাস্যকর ভাবেই গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশের অনেক ব্যাপারে ভারত বরাবর নাক গলিয়ে আসছে। ক্যাবল নেটওয়ার্ক এর প্রভাবে সাংস্কৃতিক আগ্রাসনে ভারত ও পশ্চিমবঙ্গ বেশ কিছু সংস্কৃতি প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের জণগণের উপর। ময়ূখ এর সাম্প্রতিক পোস্ট সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের আরেক নমুনা মাত্র। এ হকার সাংবাদিক সাবেক স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাকে ভারতে স্থানান্তর করার পর থেকে বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে যাচ্ছে। শেখ হাসিনাকে ভারতে স্থানান্তরের পর শহীদ মিনারে স্থানান্তরের আবদার শুরু করলো। বস্তুত তারা বাংলাদেশকে তাদের কলকাতা তথা ভারতের অংশ বলে মনে করে তার প্রতিফলন মাত্র শুরু হয়েছে।
আরো পড়ুন: সেন্টমার্টিন বিক্রির বিষয়ে প্রেস সচিবের কাছে জানতে চাইলেন ময়ূখ