অদম্য ২৪ উদ্বোধনে ‘ইতিহাস বিকৃতি’র অভিযোগে ছাত্রদল নেতার প্রতিবাদ - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না আওয়ামী লীগ: প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস হাসিনার ফাঁসির রায়ে শেকৃবিতে মিষ্টিমুখ ও আনন্দ মিছিল নষ্ট মোবাইল দান কর্মসূচিতে বেকার যুবকদের দক্ষতা উন্নয়নে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ সৌদি আরব বলেছে, “স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র” ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়কে স্বাগত জানিয়ে ছাত্রশিবিরের মিছিল হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে প্রতিক্রিয়া: ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়েছে দাবি হেফাজতে ইসলামের কুবিতে আইইএলটিএস প্রস্তুতি বিষয়ক ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত কুবিতে প্রোগ্রামিং ও সমস্যা সমাধান কর্মশালা অনুষ্ঠিত বুটেক্স হলগুলোতে মশার ভয়াবহ উপদ্রব, ডেঙ্গুতে বহু শিক্ষার্থী আক্রান্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘Allama Iqbal’s Theory of Khudi’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত

অদম্য ২৪ উদ্বোধনে ‘ইতিহাস বিকৃতি’র অভিযোগে ছাত্রদল নেতার প্রতিবাদ

নিশান খান, জাবি প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫
  • ১১৫ বার দেখা হয়েছে

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে নির্মিত দেশের প্রথম স্মৃতিস্তম্ভ ‘অদম্য ২৪’-এর উদ্বোধনী আয়োজনে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ তুলে হট্টগোল করেছেন ছাত্রদল নেতা নবীনুর রহমান নবীন। ৩১ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন ফজিলাতুন্নেসা হলের সামনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ডকুমেন্টারি প্রদর্শনের পর তিনি এ প্রতিবাদ করেন। উপস্থিত ছিলেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের শিল্প, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

নবীনুর রহমান নবীন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ৩৯তম ব্যাচের (২০০৯-১০ সেশন) সাবেক শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি। তিনি ডকুমেন্টারিতে নিজের ও ছাত্রদলের অবদান না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এই ডকুমেন্টারিতে ইতিহাস বিকৃতি করা হয়েছে। ছাত্রদলের অবদানকে অস্বীকার করা হয়েছে। আমরাও আন্দোলনে ছিলাম, জেল-জুলুম-মামলার শিকার হয়েছি।” প্রতিবাদের সময় তার সঙ্গে ছিলেন শাখা ছাত্রদলের বর্তমান কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক রোমান রাশিদুল ও হাসান শাহরিয়ার রমিম।

আয়োজকরা জানান, ডকুমেন্টারি তৈরির জন্য তাদের হাতে মাত্র দুইদিন সময় ছিল এবং একটি মাত্র ক্যামেরা দিয়ে ২৫ থেকে ৩০ জনের ইন্টারভিউ নেওয়া খুব কঠিন ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট ও পর্যাপ্ত সময় না পাওয়ায় তারা পূর্ণাঙ্গ ডকুমেন্টারি নির্মাণ করতে পারেননি। এর মধ্যেই তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পাবলিক ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট দিয়ে জুলাই আন্দোলনের সংশ্লিষ্ট ছবি ও ফুটেজ চেয়েছিলেন। সাড়া দেওয়া শিক্ষার্থীদের পাঠানো এবং সাংবাদিকদের কাছ থেকে পাওয়া উপকরণ দিয়েই ডকুমেন্টারি তৈরি হয়েছে। যিনি অভিযোগ তুলেছেন, তার কোনো ছবি বা ভিডিও ফুটেজ তারা পাননি, ফলে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়নি।

ঘটনাটিকে ঘিরে কিছু শিক্ষক দাবি করেছেন, এর পেছনে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদের এক প্রভাবশালী শিক্ষকের প্রভাব রয়েছে। তবে তাঁরা আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

ঘটনার পর প্রতিক্রিয়ায় উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, “আজকে যে একটা বিশেষ পরিস্থিতি দেখেছি, এটাও জাহাঙ্গীরনগরের বৈশিষ্ট্য, এটাও ২৪-এর অর্জন। খারাপভাবে দেখার প্রয়োজন নেই। প্রতিটি কাজের মধ্যে ভুল থাকতে পারে, এখানে শেখার সুযোগ রয়েছে। একইভাবে প্রতিবাদের ভাষাতেও শিক্ষিত হওয়া প্রয়োজন।”

তিনি আরও বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সমালোচনা ও কুৎসার পার্থক্য শিখবে, পাশাপাশি প্রশংসা ও পূজার পার্থক্যও বুঝে নিতে শিখবে।”

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT