আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে ইবিতে আলোচনা সভা - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
জাককানইবিতে সমুদ্র ও জলবায়ু–বিষয়ক ‘Exploring the Blue Earth’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত দুধকুমার নদে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে এসিল্যান্ডের হস্তক্ষেপ, স্বস্তিতে তীরবর্তী বাসিন্দারা ইবিতে জুলাই বিপ্লববিরোধী অভিযোগে ফের ৯ শিক্ষক বরখাস্ত নানিয়ারচর জোন (১৭ই বেংগল) এর মানবিক উদ্যো‌গে বিনামূল্যে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রথম নির্বাহী পরিচালক হলেন মো. সাদি উর রহিম জাদিদ আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে ইবিতে আলোচনা সভা জামায়াতের মনোনয়নে কে এই হিন্দু প্রার্থী ভারত ছাড়তে তড়িঘড়ি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল পশ্চিমবঙ্গে বেওয়ারিশ কুকুরের প্রহরায় বেঁচে গেল পরিত্যক্ত নবজাতক দুর্গম কুড়ামারায় সেনাবাহিনীর ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, চিকিৎসা পেল ১২২ বাসিন্দা

আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে ইবিতে আলোচনা সভা

ইবি প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ১৫ বার দেখা হয়েছে
Oplus_131072
আন্তর্জাতিক ৩৪তম ও জাতীয় ২৭তম প্রতিবন্ধী দিবস-২০২৫ উপলক্ষে ‘প্রতিবন্ধিতা অন্তভুক্তিমূলক সমাজ গড়ি, সামাজিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসি’র ১১৬ নং রুমে সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর প্রতিবন্ধীদের অধিকার প্রদানের ব্যাপারে একটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রউপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং শিক্ষার্থী আহনাফুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টিএসসিসি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়ন, বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, প্রেসক্লাব ও রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিনিধিরা।
ইংরেজি বিভাগের এক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী তারিফ মাহমুদ বলেন, ছোট থেকেই আমি রেসপন্স করতে পারতাম না। এর জন্য আমার বাবা-মা অনেক লাঞ্চনা স্বীকার হয়েছে। লোকজন বলাবলি করতো বড় কিছু করতে পারবে না। কিন্তু আমি স্বপ্ন দেখতাম বড় হয়ে কিছু করে দেখিয়ে দেব। সমাজের বোঝা নয়, সম্পদ হয়ে বাঁচবো।
স্বাভাবিক শিক্ষার্থীরা যা পারতো না আমি করে দিতাম, ১ থেকে ৫ রোলের মধ্যে আমার অবস্থান থাকতো। আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম পারিপার্শ্বিক অবস্থা সাথে মানিয়ে নিতে পারব। আশেপাশের মানুষ অনেক কিছু বলবে আমাকে সহ্য করে নিতে হবে। সমস্ত বাধা অতিক্রম করে বাঁচতে হবে।
শিক্ষার্থীরা অনুভুতি জানানোর সময় দাবি জানান, ‘প্রতিবন্ধী কোটাকে কাগজে কলমের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের এসে শুরু থেকেই যেন হল সুবিধা পেতে পারে এবং নিজেদের স্কিল ডেভেলপমেন্ট করার জন্য প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়।’
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার গঠিত কমিটির সদস্য ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘তোমরা প্রশাসনকে ১৫ দফা দাবির একটি স্মারকলিপি দিয়েছিলে, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় কেমন সার্ভিস দেয় এবং আমরা কেমন দিতে পারি তা জানার চেষ্টা করেছি। আমরা ১৪টা সুপারিশ করছি। অক্টোবর মাস থেকে কার্যক্রম অব্যাহত। প্রতিবন্ধীরা প্রতি ঘণ্টায় ১০মিনিট বেশি সময় পাবে বলে সুপারিশ করা হয়েছে। হতদরিদ্র শিক্ষার্থীদের সেশন ফি ফ্রি-তে দেওয়ারর চিন্তা ভাবনা রয়েছে। এছাড়া  শুরু থেকেই আবাসিকতা দেওয়া হবে।  মাসিক ভাতা প্রদান করে এমন সংশ্লিষ্ট ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়ার কিছু সংস্থার সঙ্গে কো-অপারেট করা হবে।’
তিনি উপস্থিত প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘মানুষ কখনো সম্পূর্ণ ফিট থাকে না। কোনো না কোনো দিক থেকে অপূর্ণতা রয়ে যায়। এই প্রতিকূলতা অতিক্রম করার জন্য তোমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। তোমাদের নিয়ে একটা নিবন্ধিত স্বীকৃত সংগঠন করা হবে।’

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT