বাংলাদেশকে দুই কিস্তিতে ১৩০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে আইএমএফ - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
১৩ নভেম্বর ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার, সারাদেশে সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে রাবি জিয়া পরিষদের সভাপতির পদ হারালেন অধ্যাপক এনামুল  দেশেই হবে বিশ্বমানের বন্ধ্যত্ব চিকিৎসা, তুরস্কের বিনিয়োগে নতুন হাসপাতাল টিএফডির শিরোপা জয়, তবু বুটেক্সে অশান্তি; খেলাকেন্দ্রিক সংঘাতে তদন্ত শুরু ট্রাম্পের হুমকিতে মামদানির জবাব: উন্নয়ন তহবিল বন্ধ হলে আদালতে যাব শেকৃবিতে কর্মকর্তা–কর্মচারীকে মারধরের ঘটনায় বহিষ্কৃত ও ড্রপআউট ছাত্রদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ইবিতে সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় ৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার বাঁচতে চায় ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত কুবি শিক্ষার্থী প্রভা রাকসুর প্রথম কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত কিউএস র‌্যাংকিংয়ে প্রথমবারের মতো স্থান পেল শেকৃবি

বাংলাদেশকে দুই কিস্তিতে ১৩০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে আইএমএফ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫
  • ১৬৫ বার দেখা হয়েছে

২৪ জুন ২০২৫

বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির ঋণ একসঙ্গে ছাড়ের অনুমোদন দিয়েছে। দুই কিস্তিতে বাংলাদেশ পেতে যাচ্ছে ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার।

ওয়াশিংটনে আইএমএফ সদর দপ্তরে সোমবার (২৩ জুন) অনুষ্ঠিত নির্বাহী বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি জুন মাসের মধ্যেই এই অর্থ দেশের হাতে আসবে।

২০২২ সালে দীর্ঘ আলোচনা শেষে বাংলাদেশ আইএমএফের সঙ্গে মোট ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি করে। এর আওতায় ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ঋণ কার্যক্রম শুরু হয়। একই বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম কিস্তি হিসেবে ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার এবং ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তিতে ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ।

এরপর ২০২৪ সালের জুনে তৃতীয় কিস্তি হিসেবে আসে আরও ১১৫ কোটি ডলার। এই তিন কিস্তিতে মোট পাওয়া যায় ২৩১ কোটি ডলার।

তবে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে চতুর্থ কিস্তি ছাড় হওয়ার কথা থাকলেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত পূরণ না হওয়ায় তা আটকে দেয় আইএমএফ। এসব শর্তের মধ্যে ছিল বাজারভিত্তিক মুদ্রা বিনিময় হার চালু, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং রাজস্ব আয় বাড়ানো।

এ পরিস্থিতিতে আইএমএফ একাধিকবার বোর্ড সভার সময়সূচি দিলেও সেখানে বাংলাদেশের ঋণ বিষয়টি আলোচনায় ওঠেনি।

২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় এসে শর্তপূরণের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে। এরপর মে মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আইএমএফের মধ্যে একাধিক ভার্চুয়াল বৈঠকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক অবশেষে বিনিময় হার বাজারনির্ভর করতে সম্মত হয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে আইএমএফ ঋণ ছাড়ে আগ্রহ দেখায়।

১৪ মে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানান, দুই কিস্তি ঋণ ছাড়ে আইএমএফ সম্মত হয়েছে। আইএমএফও এক বিবৃতিতে জানায়, চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি জুনে ছাড় করা হবে।

অবশেষে এক মাসেরও বেশি সময় পর বোর্ড সভায় এই অনুমোদন পেল বাংলাদেশ। আইএমএফ বলেছে, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ ঋণ কর্মসূচির বাস্তবায়নে সন্তোষজনক অগ্রগতি দেখিয়েছে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT