সরকারি কর্মচারীরা আন্দোলন করলে বাধ্যতামূলক অবসর - অধ্যাদেশ জারি - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
বুটেক্স স্পিনার্স ক্লাবের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হল ‘স্পিনার্স ফিয়েস্তা ৩.০’ বছরজুড়ে ডেঙ্গুর হুমকি: টিকা আবিষ্কার হলেও কেন এখনো বাংলাদেশে ব্যবহার হচ্ছে না? ১৩ নভেম্বর ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার, সারাদেশে সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে রাবি জিয়া পরিষদের সভাপতির পদ হারালেন অধ্যাপক এনামুল  দেশেই হবে বিশ্বমানের বন্ধ্যত্ব চিকিৎসা, তুরস্কের বিনিয়োগে নতুন হাসপাতাল টিএফডির শিরোপা জয়, তবু বুটেক্সে অশান্তি; খেলাকেন্দ্রিক সংঘাতে তদন্ত শুরু ট্রাম্পের হুমকিতে মামদানির জবাব: উন্নয়ন তহবিল বন্ধ হলে আদালতে যাব শেকৃবিতে কর্মকর্তা–কর্মচারীকে মারধরের ঘটনায় বহিষ্কৃত ও ড্রপআউট ছাত্রদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ইবিতে সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় ৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার বাঁচতে চায় ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত কুবি শিক্ষার্থী প্রভা

সরকারি কর্মচারীরা আন্দোলন করলে বাধ্যতামূলক অবসর – অধ্যাদেশ জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫
  • ২৬২ বার দেখা হয়েছে

সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-তে নতুন করে দ্বিতীয় দফা সংশোধনী এনে কঠোর বিধান সংযুক্ত করে একটি অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। ২৩ জুলাই রাষ্ট্রপতির আদেশে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরীর স্বাক্ষরে এই অধ্যাদেশটি জারি করা হয়। ‘সরকারি চাকরি (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ নামে পরিচিত এই অধ্যাদেশটি অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।

নতুন এই অধ্যাদেশের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলন বা কর্মবিরতিকে ‘সরকারি কর্মে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী অসদাচরণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। আইনজীবীদের মতে, অধ্যাদেশে শব্দ ‘আন্দোলন’ সরাসরি উল্লেখ না থাকলেও ‘কর্মে বাধা প্রদান’ বা ‘কর্তব্যে বিরতি’ সংক্রান্ত যে ধারা সংযোজন করা হয়েছে, তাতে আন্দোলনকেই মূলত বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ, কোনো কর্মচারী যদি নিজে কর্মস্থলে না গিয়ে অপর কোনো কর্মচারীকেও কাজ না করার জন্য প্ররোচিত করেন বা বাধা দেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

এই অধ্যাদেশের ৩৭(ক) ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো সরকারি কর্মচারী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বৈধ আদেশ অমান্য করেন, বা সরকারের কোনো আদেশ বা পরিপত্র বাস্তবায়নে বাধা দেন, কিংবা অন্য কোনো কর্মচারীকে সে কাজে প্ররোচিত করেন, তবে তা অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে। একই ধারায় আরও বলা হয়েছে, যদি কোনো কর্মচারী ছুটি বা যৌক্তিক কারণ ছাড়া অন্যদের সঙ্গে সমবেতভাবে কর্মবিরত থাকেন, অথবা অন্য কোনো কর্মচারীকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেন, তাহলে তাকে চাকরি থেকে অবনমিত, বাধ্যতামূলক অবসর বা বরখাস্ত—এই তিন ধরনের যেকোনো শাস্তি দেওয়া যেতে পারে।

অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত কর্মচারীর বিরুদ্ধে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা চাইলে শুনানিতে ব্যক্তিগতভাবে অংশ নিতে পারবেন। তবে অধ্যাদেশে সাফ জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রপতির দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে না। যদিও শাস্তিপ্রাপ্ত কর্মচারী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে রিভিউ আবেদন করতে পারবেন এবং রাষ্ট্রপতির রিভিউ আদেশই হবে চূড়ান্ত।

রাষ্ট্রপতির এই অধ্যাদেশ ঘোষণার পেছনে সাংবিধানিক ব্যাখ্যাও যুক্ত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, যেহেতু সংসদ ভেঙে গেছে এবং রাষ্ট্রপতির কাছে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন, তাই সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে এই অধ্যাদেশ জারি করা হলো। এর মাধ্যমে স্পষ্টভাবে বোঝানো হয়েছে, সরকারি দপ্তরে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা এবং কর্মক্ষেত্রে নিষ্কণ্টক পরিবেশ বজায় রাখার উদ্দেশ্যেই এই সংশোধন আনা হয়েছে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT