লাহোরে ৩৩১ রানের লক্ষ্যে ফখর জামান ৮৪ রান করলেও তার আউট হওয়ার পর স্বাগতিকরা ভেঙে পড়ে।
নিউজিল্যান্ড ৩৩০/৬ (ফিলিপস ১০৬, মিচেল ৮১, উইলিয়ামসন ৫৮, আফ্রিদি ৩-৮৮) পাকিস্তান ২৫২ অলআউট (ফখর ৮৪, স্যান্টনার ৩-৪১)
প্রথম ইনিংসের শেষ ছয় ওভারে গ্লেন ফিলিপসের তাণ্ডব নিউজিল্যান্ডকে পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশাল জয়ে পৌঁছে দেয়। ফিলিপসের ৭২ বলে সেঞ্চুরির সৌজন্যে নিউজিল্যান্ড ৩৩০ রান তোলে, যার মধ্যে শেষ ছয় ওভারেই আসে ৯৮ রান। পাকিস্তান সেই লক্ষ্য তাড়া করতে পারেনি, যদিও ফখর জামানের দুর্দান্ত শুরুতে কিছুটা আশার আলো দেখা গিয়েছিল। কিন্তু ফিলিপসের এক কার্যকর ডেলিভারিতে ফখর ৬৯ বলে ৮৪ রানে এলবিডব্লিউ হলে পাকিস্তানের প্রতিরোধ ভেঙে যায়। পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তোলে হারিস রউফের চোট, যার ফলে তিনি ব্যাট করতে পারেননি। নিউজিল্যান্ড ৭৮ রানে ম্যাচ জিতে নেয়।
নিউজিল্যান্ডের ইনিংস বিশ্লেষণ:
নিউজিল্যান্ডের ইনিংস ৪৪তম ওভার পর্যন্ত কিছুটা সংগ্রামের মধ্যে ছিল। পাকিস্তানের বোলাররা নিয়মিত উইকেট তুলে নিলেও কেন উইলিয়ামসন এবং ড্যারিল মিচেলের অর্ধশতক দলকে খেলায় রাখে। শাহীন শাহ আফ্রিদি এবং নাসিম শাহ পাঁচটি উইকেট নেন এবং নিউজিল্যান্ডের রান রেট কমিয়ে রাখেন। তবে ফিলিপস শেষ মুহূর্তে পাকিস্তানের বোলারদের ধ্বংস করেন। তার শেষ ৭৭ রান আসে মাত্র ৩২ বলে।
পাকিস্তানের জবাব:
বাবর আজম এবং ফখর জামানের উদ্বোধনী জুটি পাকিস্তানকে একটি ভালো শুরু দেয়। ফখর আগ্রাসী ব্যাটিং করে পাকিস্তানকে লড়াইয়ে রাখেন। কিন্তু বাবরের প্রথমবার ওপেনিং (২০১৫ সালের পর) হতাশাজনক হয়। ফখর যখন আউট হন, তখন পাকিস্তানের স্কোর ছিল ১১২ এবং জয়ের আশা কার্যত শেষ হয়ে যায়।
তায়্যাব তাহির এবং আগা সলমান কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও নিউজিল্যান্ডের ধারাবাহিক আক্রমণের সামনে টিকতে পারেনি। ম্যাচে একমাত্র খারাপ খবর ছিল রাচিন রবীন্দ্রের চোট, যিনি বলের আঘাতে মাথায় রক্তাক্ত হন।
অবশেষে পাকিস্তান শেষ হয় ২৫২ রানে অলআউট হয়ে। নিউজিল্যান্ড টুর্নামেন্টে শক্ত অবস্থানে রয়েছে এবং চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য প্রস্তুত বলেই মনে হচ্ছে।
Leave a Reply