নোটিশ:

আন্তর্জাতিক আদালতে মামলার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাথে আলোচনা গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

ডেস্ক নিউজ
  • আপডেট সময় বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫
  • ৩০ বার দেখা হয়েছে
গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক, ছবি: প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ
গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক, ছবি: প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ

গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মামাদু টাঙ্গারা বুধবার ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন যে, তার দেশ মিয়ানমারের বিরুদ্ধে যে গণহত্যার মামলা দায়ের করেছে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তা চালিয়ে যাচ্ছে, সেটি রোহিঙ্গা মুসলমানদের বহুদিনের নিপীড়নের বিরুদ্ধে ন্যায় প্রতিষ্ঠার একটি প্রচেষ্টা।

টাঙ্গারা বলেন, “আমি আপনাকে আশ্বস্ত করতে পারি যে গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট এই বিষয়ে সমর্থন দিচ্ছেন এবং বিষয়টি নজরে রাখছেন। আমরা এই ইস্যুটিকে আবারও বিশ্বের মানচিত্রে তুলে ধরতে চাই।”

তিনি আরও বলেন, “গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ও গাম্বিয়ার জনগণ এই বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস রোহিঙ্গা জনগণের পক্ষে গাম্বিয়ার অবস্থান গ্রহণ ও আফ্রিকান দেশটির নিরবচ্ছিন্ন প্রতিশ্রুতি এবং মামলার সফল পরিণতির জন্য চালিয়ে যাওয়া প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা চাই এই মামলাটি সফল হোক। আমরা আপনাদের সমর্থন চাই। এটি আমাদের জন্য একটি বড় সহায়তা।”

মামাদু টাঙ্গারা অধ্যাপক ইউনুসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, তার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা রোহিঙ্গাদের জন্য মর্যাদাপূর্ণ জীবনের পথ প্রশস্ত করবে।
তিনি বলেন, “আপনি গাম্বিয়ায় একটি সুপরিচিত নাম। আপনার ব্যক্তিত্বের জোরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সবসময় আপনার পাশে থাকবে।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধান উপদেষ্টাকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে তার নতুন দায়িত্বে সফলতা কামনা করেন।
তিনি বলেন, “আমরা আপনার মহৎ কর্ম ও চ্যালেঞ্জিং মিশনে আপনাকে সর্বাঙ্গীন সফলতা কামনা করি।”

অধ্যাপক ইউনুস রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তা সংগ্রহে ঢাকার প্রচেষ্টা এবং রাখাইনে মানবিক সহায়তা, খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছানোর আহ্বান এবং আরও মানুষকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা থেকে বিরত রাখার প্রয়াসের কথা তুলে ধরেন।

প্রধান উপদেষ্টা দুই দেশের মধ্যে আরও গভীর বাণিজ্য ও সহযোগিতার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “আপনাদের জন্য আমরা কী করতে পারি, আমাদের জানান।”

দুই নেতা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যৌথভাবে কাজ করার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

তারা আফ্রিকায় লক্ষাধিক মানুষকে দারিদ্র্য থেকে উত্তরণের এবং মহাদেশের কিছু সহিংসতাপূর্ণ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনয়নের সম্ভাব্য উপায় হিসেবে ক্ষুদ্র ঋণের সম্ভাবনাও আলোচনা করেন।

সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে রোহিঙ্গা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান এবং বাংলাদেশ সরকারের এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব ও প্রধান লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র: প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ

  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর সর্বশেষ নিউজ পড়তে ক্লিক করুন: সর্বশেষ
  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর ফেসবুক পেজটি ফলো করুন: dailysabasbd

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT