১০ম গ্রেড নিয়ে এইবারও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের আশাভঙ্গ হলো। আজ মাগুরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর আয়োজিত এক সভায় এন্ট্রি লেভেলে ১২তম এবং ৪ বছর সফলতার সাথে চাকরির পর ১১তম গ্রেডের সেই প্রস্তাব বাস্তবায়নের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন ও মান উন্নয়নে একটি পরামর্শক কমিটি করেছিলাম। এই কমিটি প্রধান শিক্ষক পদকে দশম গ্রেড, সহকারী শিক্ষকদের নিয়োগের চার বছর পর সিনিয়র শিক্ষক হিসাবে ১১তম গ্রেডে পদোন্নতি, প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর সুপারিশ করেছে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা এই সুপারিশকে যৌক্তিক মনে করছি। এখন আমাদের কাজ হচ্ছে সরকারে পলিসি মেকারদের কনভিন্স করে বিষয়টি বাস্তবায়ন করা। আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে সেই কাজ করে যাচ্ছি।’
হতাশা প্রকাশ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা খাতে আমরা অনেক ভালো শিক্ষক পাচ্ছি এবং তাদের সুন্দরভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সরকারি নানা উদ্যোগ তাদের জন্য আছে। কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে যে, শ্রেণিকক্ষে আমরা সেটার কাঙ্ক্ষিত ফলাফল দেখতে পাচ্ছি না।
এসময় তিনি মিড-ডে মিল, প্রধান শিক্ষক নিয়োগে মামলা সংক্রান্ত জটিলতা এবং নতুন শিক্ষক নিয়োগ সার্কুলার নিয়েও কথা বলেন।
শিক্ষকদের বদলি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে উপদেষ্টা বলেন,‘দীর্ঘ দিন ধরে শিক্ষকদের বদলিজনিত সমস্যা ছিল। শিক্ষকদের বদলি জনিত সমস্যা সমাধান করা হচ্ছে।’
মাগুরার জেলা প্রশাসক অহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন এবং অন্যান্য অংশীজন বক্তব্য দেন।