ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থী পরীক্ষার হলে হিজাব-নিকাব পরিধানের কারণে বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তাহমিনা আক্তার তামান্না (সেশন ২০২২-২৩) এ বিষয়ে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন, সেটিকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীর পরিচয় শনাক্তের নিয়ম ও হিজাব-নিকাব পরা শিক্ষার্থীদের বারবার হেনস্থার শিকার হবার বিষয়টি আবারও আলোচনায় এসেছে।
পরবর্তীতে পোস্ট ভাইরাল হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিকাব ও হিজাব পরা ছাত্রীদের পরিচয় শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন একটি সিদ্ধান্ত নেয়। ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে এ প্রক্রিয়ায় নারী শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পরিচয় শনাক্ত করা হবে বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) উপাচার্যের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ডিনস কমিটির মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর। সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সভায় সভাপতিত্ব করেন।
ঢাবি জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও গোপনীয়তা বিবেচনায় রেখে নারী শিক্ষক/নারী কর্মকর্তা/নারী কর্মচারীদের মাধ্যমে নিকাব ও হিজাব পরিহিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের পরিচয় শনাক্তকরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ছাত্রীদের পরিচয় শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনে নারী সহকারী প্রক্টরের সহযোগিতা নেওয়া হবে। পরিচয় শনাক্তকরণের জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্টিং বা বায়োমেট্রিক সিস্টেম চালুর সম্ভাব্যতার বিষয়টি যথাসময়ে যাচাই করা হবে।