ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরকদমে চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে কিংবা আগামী সপ্তাহের শুরুতেই নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা রয়েছে। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) এবং ডাকসু নির্বাচনের পরামর্শ কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা জানান, কমিশন গঠনের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে। কমিশনে একজন চিফ রিটার্নিং অফিসার ও পাঁচজন রিটার্নিং অফিসার থাকবেন। প্রশাসনের মতে, এই প্রক্রিয়া সময়সীমা অনুযায়ী এগোচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গত ১৫ এপ্রিল ডাকসু নির্বাচনের টাইমলাইন ঘোষণা করে। এতে মে মাসের প্রথমার্ধে কমিশন গঠনের কথা বলা হয়। তবে নির্বাচনের তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
নির্বাচন ঘিরে ছাত্রসংগঠনগুলোর প্রত্যাশা ভিন্ন হলেও অধিকাংশই চায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দাবি, গঠনতন্ত্র সংস্কার ও অতীতে ক্যাম্পাসে ‘ফ্যাসিবাদের সহযোগীদের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। ঢাবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, নিরপেক্ষতা নিশ্চিতে গঠনতন্ত্র সংশোধন ও অপরাধীদের অপসারণ জরুরি।
এদিকে ইসলামী ছাত্রশিবির, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস), সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টসহ বিভিন্ন সংগঠন ডাকসু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। কেউ চাইছে ঈদুল আজহার আগেই নির্বাচন, কেউ চাইছে নির্বাচনের পূর্বে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার। তবে সবাই চায় সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হোক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ জানান, নির্বাচন নিয়ে তিনটি কমিটি ইতিমধ্যেই প্রতিবেদন পেশ করেছে এবং তা সিন্ডিকেটে অনুমোদিত হয়েছে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান জানান, কমিশন গঠনের পর ১১টি ধাপ সম্পন্ন করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং প্রশাসন এ বিষয়ে প্রস্তুত রয়েছে।