নোটিশ:
শিরোনামঃ
সরাসরি ট্রেন চালুর দাবিতে সড়ক অবরোধ: লালমনিরহাটে আন্দোলন তীব্র উপদেষ্টাদের এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে মাঠে নেমেছে দুদক ইরানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ: নিহত ৪০, আহত ১২০০, নেপথ্যে ইসরায়েল জাবিতে হামলার ঘটনায় ২৫৯ ছাত্রলীগ কর্মী বহিষ্কার, ৯ শিক্ষক বরখাস্ত আন্ডারওয়ার্ল্ডের নতুন কৌশল: ‘মব’ সৃষ্টি করে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের আধিপত্য আল-জাজিরাকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানালেন, বাংলাদেশে ‘দ্বিতীয় ’স্বাধীনতার পর দেশ গঠনের দায়িত্বে আছেন আল-জাজিরায় ড. ইউনূস: শেখ হাসিনাকে থামাতে পারবেন না মোদি মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি যুবক নিহত ফ্রান্সে মসজিদে হামলা, নামাজরত মুসল্লিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা ঢাবি শিক্ষার্থীর লুঙ্গি-গেঞ্জি পরে ক্লাসে যাওয়ার দাবিতে প্রতীকী অনশন

আপনার ঈদ মোবারক নিঁদ মোবারক হয়ে যাচ্ছে না তো?

সিনান সাবিত
  • আপডেট সময় সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০২৫
  • ৩৬ বার দেখা হয়েছে
ঈদ আনন্দের ছবি

আজ ঈদ। মদিনার ঘরে ঘরে আনন্দ…মনে পড়ে গেল কি শৈশবের সেই দিনগুলোর কথা? স্মৃতিপটে কি ভেসে উঠল ছোটবেলায় বর্ণিল ঈদযাপনের চিত্র?  ইফতারিতে মুখে খেজুর পুরে দৌড় দিতেন মাঠে, ঈদের নতুন চাঁদ দেখতে। সবাই মিলে আকাশের কোণে খুঁজতে খুঁজতে হঠাৎ একজন দেখে ফেলত সেই চাঁদ, তার চিৎকার শুনে সবাই দেখত, তারপর তার বিজয়ের হাসি দেখে কে? সবাই মিলে হৈ-হুল্লোড় করে উদযাপন।

“আজকে রাতে কী হবে, ছোঁ ছোঁ আন্দেসা!”- এই স্লোগান দিতে দিতে মশাল হাতে পুরো পাড়া দাপিয়ে বেড়াতেন, পটকার শব্দে ও আতশবাজির আলোয় মুখর হয়ে উঠত মহল্লা। পরদিন ভোরে সাবান ও গরম পানি দিয়ে গোসল সেরে নতুন জামা গায়ে ঈদে যেতেন। তার আগে ফিরনি-সেমাই মুখে দিতেন। নামাজ সেরে এসে কি আপনার জিরোবার সময় ছিল? এর বাড়ি, ওর বাড়ি গিয়ে মুরুব্বিদের সালাম দিয়ে ৫-১০ টাকার কড়কড়ে নোটের সালামি তুলতেন। পার্ক বা অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলোতে যেতেন ঘুরতে, বন্ধুদের সাথে দিতেন আড্ডা।

কোথায় হারিয়ে গেল সেই স্বপ্নালু দিনগুলো? আজ আমাদের ঈদ আসে, ঈদ যায়- ডিভাইসে মশগুল থাকি আমরা। নামাজ শেষ করে এসে ঘরে শুয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিই, “ঈদগুলো কেমন জানি পানসে হয়ে যাচ্ছে!” এখন ঈদের দিন ঘুমানো একটা পশ আইডিয়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর কারণ হতে পারে, আগে দুই ঈদ ছাড়া বাঙালি মুসলমানের জীবনে আর কোনো উদযাপনযোগ্য বাৎসরিক উৎসব ছিল না। কিন্তু গ্লোবালাইজেশনের প্রভাবে এখন ঘরে ঘরে উদযাপিত হচ্ছে জন্মদিন। ঘরের সদস্য ৫ জন হলে বছরে ৫টা জন্মদিন অনুষ্ঠান। এরপর রইল ভ্যালেন্টাইন্স ডে, পহেলা ফাল্গুন, পহেলা বৈশাখ, থার্টি ফাস্ট নাইট, এবং সাম্প্রতিক সময়ে একটু একটু করে প্রকোপ বাড়ছে হ্যালোইন ডে’রও। সেকুলারাজাইজেশনের প্রভাবে মুসলমান এখন পুজাও উদযাপন করছে। সব কিছুকে আপন করতে গিয়ে দূরে ঠেলে দিয়েছে তার আসল ধর্মীয় ও প্রাণের উৎসব ঈদকে, যেটি কিনা ইসলামের দৃষ্টিতে স্বীকৃত মুসলমানদের একমাত্র বাৎসরিক আনন্দ উৎসব।

ঈদে আনন্দ করা ইসলামেরই বিধান, মুসলিমদের সংস্কৃতি। ঈদে বৈধ পন্থায় আনন্দ করুন। একে-অপরকে ঈদ মোবারক জানান। সাহাবিরা পরস্পরকে বলতেন, তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম। এটিরও বেশি বেশি প্রচলন করুন। ঈদের নামাজ পড়ে এসে ঘরে বসে-শুয়ে না থেকে বেরিয়ে পড়ুন। আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে ঘুরে আসুন, দেখে আসুন দর্শনীয় স্থান।

আপনার সারা জীবনে এই পবিত্র অনুষ্ঠান হয়ত পাবেন ১২০-১৪০টি, তাই একে হেলায় হারাবেন না। ঘুমিয়ে ঈদের আনন্দ মাটি করে ঈদ মোবারক কে নিঁদ মোবারকে পরিণত করবেন না!

  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর সর্বশেষ নিউজ পড়তে ক্লিক করুন: সর্বশেষ
  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর ফেসবুক পেজটি ফলো করুন: dailysabasbd

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT