চাঁদের দিকে ধেয়ে আসছে বিশাল গ্রহাণু, হতে পারে নজিরবিহীন মহাজাগতিক ঘটনা - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
গাজায় ত্রাণ নেওয়ার সময় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রাণ গেল ৭১ জনের জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশে এলজিবিটিকিউ নিয়ে কাজ করবে: মিলল গোপন প্রমাণ ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যে ভারতের ৬ প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা লালমনিরহাট বিমানবন্দর চালুর উদ্যোগ – ভূরাজনৈতিক শঙ্কা ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনার যুগপৎ জাগরণ রোহিঙ্গাদের ওপর আরাকান আর্মির নির্মম নির্যাতনের তথ্য, ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ শেষ হলো বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়া ‘এক্সারসাইজ টাইগার লাইটনিং-২০২৫’ পর্তুগালে ভয়াবহ দাবানল: সাতজনের মৃত্যু, বহু এলাকা পুড়েছে সাপে কেটেছিল এক সাপুড়েকে, সেই সাপই কাঁচা চিবিয়ে খেলেন আরেক সাপুড়ে পাকিস্তানের সঙ্গে তেল উন্নয়ন চুক্তির ঘোষণা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শেরপুরে মাছরাঙা টেলিভিশনের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

চাঁদের দিকে ধেয়ে আসছে বিশাল গ্রহাণু, হতে পারে নজিরবিহীন মহাজাগতিক ঘটনা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫
  • ১৮ বার দেখা হয়েছে

২৯ জুলাই ২০২৫

আগামী ২০৩২ সালের ২২ ডিসেম্বর রাতে ঘটতে পারে এক ব্যতিক্রমী মহাজাগতিক দৃশ্য। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, ‘২০২৪ ওয়াইআর৪’ নামের একটি বিশাল গ্রহাণু—যার উপাধি ‘সিটি-কিলার’—চাঁদের দিকে দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসছে। গ্রহাণুটির চাঁদের সঙ্গে সংঘর্ষের সম্ভাবনা বর্তমানে ৪.৩ শতাংশ, যা আগের ৩.৮ শতাংশ থেকে বেড়েছে।

প্রায় ২০০ ফুট প্রস্থ এবং ১৫ তলা ভবনের সমান উচ্চতার এই মহাজাগতিক বস্তুটি চাঁদে আঘাত হানলে সৃষ্টি হতে পারে বিশাল এক বিস্ফোরণ। এতে প্রায় এক কিলোমিটার প্রশস্ত একটি গর্ত তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা হবে দশকের মধ্যে সবচেয়ে দৃশ্যমান মহাকাশীয় ঘটনা—এমনকি সাধারণ টেলিস্কোপ দিয়েও তা দেখা যাবে।

যদিও এই সংঘর্ষ চাঁদের কক্ষপথে পরিবর্তন আনবে না এবং সরাসরি পৃথিবীর ওপর প্রভাব ফেলবে না, তবে এর ধ্বংসাবশেষ বুলেটের গতিতে পৃথিবীমুখী হতে পারে। এতে করে উপগ্রহ, জিপিএস, ইন্টারনেট সংযোগ ও আবহাওয়া পূর্বাভাস ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।

নাসা ও ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির বিশেষজ্ঞরা এই পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপসহ বিভিন্ন দূরবীক্ষণ যন্ত্রের মাধ্যমে গ্রহাণুটির গতি ও কক্ষপথ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

নাসার গবেষক মলি ওয়াসার জানিয়েছেন, বর্তমানে গ্রহাণুটি সূর্যের চারপাশে ঘূর্ণায়মান। তিনি বলেন, যদি নিউমির ইনফ্রারেড টেলিস্কোপটি আগে থেকেই কার্যকর থাকতো, তাহলে এই গ্রহাণুটি আরও আগেই শনাক্ত করা সম্ভব হতো।

যদিও এই গ্রহাণু পৃথিবীর জন্য তাৎক্ষণিক কোনো হুমকি নয়, তবে এটি হতে পারে গ্রহ প্রতিরক্ষা কৌশল পরীক্ষার একটি দুর্লভ সুযোগ এবং মহাকাশে আমাদের টিকে থাকার অনিশ্চয়তা ও ঝুঁকির বাস্তব বার্তা।

সূত্র: নাসা

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT