২৯ জুলাই ২০২৫
প্রায় ২০০ ফুট প্রস্থ এবং ১৫ তলা ভবনের সমান উচ্চতার এই মহাজাগতিক বস্তুটি চাঁদে আঘাত হানলে সৃষ্টি হতে পারে বিশাল এক বিস্ফোরণ। এতে প্রায় এক কিলোমিটার প্রশস্ত একটি গর্ত তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা হবে দশকের মধ্যে সবচেয়ে দৃশ্যমান মহাকাশীয় ঘটনা—এমনকি সাধারণ টেলিস্কোপ দিয়েও তা দেখা যাবে।
যদিও এই সংঘর্ষ চাঁদের কক্ষপথে পরিবর্তন আনবে না এবং সরাসরি পৃথিবীর ওপর প্রভাব ফেলবে না, তবে এর ধ্বংসাবশেষ বুলেটের গতিতে পৃথিবীমুখী হতে পারে। এতে করে উপগ্রহ, জিপিএস, ইন্টারনেট সংযোগ ও আবহাওয়া পূর্বাভাস ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
নাসা ও ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির বিশেষজ্ঞরা এই পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপসহ বিভিন্ন দূরবীক্ষণ যন্ত্রের মাধ্যমে গ্রহাণুটির গতি ও কক্ষপথ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
নাসার গবেষক মলি ওয়াসার জানিয়েছেন, বর্তমানে গ্রহাণুটি সূর্যের চারপাশে ঘূর্ণায়মান। তিনি বলেন, যদি নিউমির ইনফ্রারেড টেলিস্কোপটি আগে থেকেই কার্যকর থাকতো, তাহলে এই গ্রহাণুটি আরও আগেই শনাক্ত করা সম্ভব হতো।
যদিও এই গ্রহাণু পৃথিবীর জন্য তাৎক্ষণিক কোনো হুমকি নয়, তবে এটি হতে পারে গ্রহ প্রতিরক্ষা কৌশল পরীক্ষার একটি দুর্লভ সুযোগ এবং মহাকাশে আমাদের টিকে থাকার অনিশ্চয়তা ও ঝুঁকির বাস্তব বার্তা।
সূত্র: নাসা