চট্টগ্রামের চন্দনাইশে নির্মিত হতে যাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন একটি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গাছবাড়িয়া পুরাতন কলেজ গেট সংলগ্ন এলাকায় এই তিনতলা বিশিষ্ট মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, “মসজিদ আমরা নির্মাণ করে দেবো, কিন্তু এটিকে আবাদ করার দায়িত্ব আপনাদের। মুসল্লিদের যাতায়াত না থাকলে মসজিদ টিকবে না।”
১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য এই মসজিদ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম জেলা গণপূর্ত বিভাগ। এটি শুধু নামাজের জায়গা নয়, বরং একটি মাল্টিপারপাস ইসলামিক কমপ্লেক্স। এখানে একসঙ্গে ১ হাজার ২০০ জন মুসল্লির নামাজের ব্যবস্থা থাকবে। পুরুষ ও নারীদের জন্য থাকবে পৃথক নামাজের ব্যবস্থা। থাকবে ১২-১৩টি গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা।
এছাড়া ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, হিফজখানা, মরদেহ গোসলের স্থান, ১৫০ আসনের কনফারেন্স রুম, অতিথিদের থাকার সুবিধা, অন্ধ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা নামাজের জায়গা, ইসলামিক গবেষণা ও লাইব্রেরি সুবিধা থাকবে। লাইব্রেরিতে পড়ার পাশাপাশি বই কেনার ব্যবস্থাও থাকবে।
ড. খালিদ হোসেন জানান, সারাদেশে সরকার ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করছে। এর মধ্যে ৩৫০টির বেশি মসজিদের নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শহিদুল আলম, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল হাওলাদার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আব্দুস ছালাম খান, উপ-প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ ফেরদৌস-উজ-জামান, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুল ইসলাম খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাজিব হোসেন, সহকারী কমিশনার ডিপ্লোমেসি চাকমা, ওসি মো. নুরুজ্জামান এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক সরকার সারোয়ার আলম।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন চন্দনাইশের জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত সংসদ সদস্য প্রার্থী ডা. মো. শাহাদাৎ হোসেন, বিএনপির সাবেক উপজেলা সাধারণ সম্পাদক এম এ হাশেম রাজু, উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা কুতুবউদ্দিন, পিচপার্ক হাউজিং সোসাইটির চেয়ারম্যান কাজী মোহাম্মদ আলমগীরসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক ও মসজিদের ভূমিদাতা শাহজাহান আজাদ, মহিউদ্দিন, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদল নেতা মো. সাইফুল ইসলাম, বিএনপি নেতা আবদুর রহমান শামা, সাবেক কাউন্সিলর জলিল, আবু ছৈয়দ, সমাজসেবক ইসমাইল মোরশেদ, নুরুল আলম ও এয়াকুব আলী।
উপদেষ্টা অনুষ্ঠানে মুসল্লিদের উদ্দেশে আরও বলেন, “মসজিদ শুধু নির্মাণ করলেই চলবে না, এটিকে আবাদ করতে হবে। নিয়মিত জামায়াত, কুরআন শিক্ষা, হিফজ ও ইসলামিক গবেষণার মাধ্যমে মসজিদের পরিবেশকে উজ্জীবিত রাখতে হবে। এতে সমাজ উপকৃত হবে, নৈতিকতা বাড়বে এবং প্রজন্ম আলোকিত হবে।”