স্থানীয়রা জানান, সীমান্ত এলাকায় কয়েকজনকে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে তারা বিষয়টি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের জানায়। পরে বিজিবি গিয়ে তাদের আটক করে। বিষয়টি শনিবার বিকেলে নিশ্চিত করেন নীলফামারী-৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর রিয়াদ মুর্শেদ।
আটক ব্যক্তিরা হলেন—সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের তাসলিমা খাতুন, কলারোয়ার মর্জিনা, নড়াইলের নীরুফা বেগম, যশোরের সাজিদা খাতুন, ফরিদপুরের জাহিদুল ইসলাম ও শিশু ফাইজান শেখ, নোয়াখালীর ওমর ফারুক, নারায়ণগঞ্জের মীম আক্তার ও শাহনাজ, নরসিংদীর তানিয়া এবং খুলনার আলেয়া।
বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আটক ব্যক্তিরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ভারতে অবস্থান করে বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকের কাজ করতেন। চলতি মাসের ২ তারিখে মুম্বাই পুলিশ তাদের আটক করে এবং এরপর তারা পুলিশ হেফাজতে ছিলেন। ১৭ মে ১২৫ জন বাংলাদেশিকে বিমানযোগে শিলিগুড়িতে আনা হয়। সেখান থেকে গত শুক্রবার গভীর রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত এই ১১ জনকে পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশইন করে বিএসএফ।
মেজর রিয়াদ মুর্শেদ জানান, আটক ব্যক্তিদের বোদা থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। একই সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং অনুপ্রবেশ ও সীমান্ত অপরাধ দমনে বিজিবির নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।