অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, পহেলা বৈশাখ আমাদের জাতীয় জীবনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অন্যতম প্রতীক। তিনি বলেন, ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম, মত ও সংস্কৃতির মানুষ একত্রে বসবাস করেও এক পরিবারের সদস্য হিসেবে দেশকে সমৃদ্ধ করছে।
রবিবার সকালে ঢাকার আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে ‘সম্প্রীতি ভবন’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস বলেন, “বাংলা নববর্ষের প্রাক্কালে এই শুভক্ষণে সম্প্রীতির এমন এক প্রকল্পে উপস্থিত থাকতে পারা আমার জন্য সৌভাগ্যের।”
তিনি দেশবাসীকে আহ্বান জানান, নিজ নিজ রীতি ও সংস্কৃতি অনুযায়ী পহেলা বৈশাখ উদযাপন করে এ সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও দৃঢ় করতে।
গৌতম বুদ্ধের অহিংসা ও সাম্যের বাণী তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, “বৌদ্ধ ধর্ম সব প্রাণীর কল্যাণ কামনায় নিবেদিত। এমনকি ক্ষুদ্র প্রাণীকেও শান্তি ও সুখ থেকে বঞ্চিত করা উচিত নয়।”
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও মানবিক অবদান অনন্য। অতীশ দীপঙ্করের মতো বৌদ্ধ পণ্ডিতগণ আন্তর্জাতিকভাবে শ্রদ্ধার পাত্র। চীনে এখনো তাঁকে সর্বোচ্চ সম্মানের সঙ্গে স্মরণ করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারের ‘সম্প্রীতি ভবন’ দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও মানবিক মূল্যবোধকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও তুলে ধরবে।
শেষে তিনি সকলকে নববর্ষের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “আমাদের মানবতা ও সম্প্রীতির জয় হোক। শুভ নববর্ষ।”