কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে চিকিৎসাধীন রোগীর উপর হত্যার চেষ্টা চালানোর অভিযোগে লুৎফর রহমান নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে দুটি ধারালো দেশীয় অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়। শনিবার (৫ জুলাই) সকালে আটক যুবককে কুড়িগ্রাম আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল হেলাল মাহমুদ এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, শুক্রবার দক্ষিণ সরকার টারী গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে আব্দুল করিম ও আমির হোসেনের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৩ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় এবং গুরুতর তিনজনকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ অবস্থায় সংঘর্ষের ঘটনার পরদিন শনিবার সকালে ওই গ্রামের জহুর আলীর ছেলে লুৎফর রহমান হাসপাতালে প্রবেশ করে। অভিযোগ রয়েছে, সে হাসুয়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীর উপর হামলা চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। বিষয়টি টের পেয়ে দ্রুত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যুবকটিকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে লুৎফর রহমানকে গ্রেপ্তার করে এবং তার কাছ থেকে দুটি ধারালো হাসুয়া উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত লুৎফর রহমান দাবি করেছে, সে শুধু তার পক্ষের আহত লোকজনকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিল। প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে ফাঁসানোর জন্য আটক করে পুলিশে দিয়েছে বলে দাবি করে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম জানান, অস্ত্রসহ হাসপাতালে ঢোকার ঘটনায় এক যুবককে আটক করে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। থানা পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত যুবকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে শনিবার সকালে তাকে কুড়িগ্রাম আদালতে পাঠানো হয়েছে।