বাংলাদেশি শিবলীর গবেষণায় মুগ্ধ বিল গেটস
- আপডেট সময় শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫
- ৩৯ বার দেখা হয়েছে
বাংলাদেশের তরুণ গবেষক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান শিবলী আবারও প্রমাণ করলেন, মেধা আর পরিশ্রমের কোনো সীমানা নেই। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির নৈতিক ব্যবস্থাপনায় অসাধারণ অবদানের জন্য এই তরুণ গবেষক বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি সংস্থা ক্যানন ভল্ট থেকে পেয়েছেন ‘এআই এসুরেন্স ডেলিগেট’ পদক। শুধু তাই নয়, এই স্বীকৃতির মাধ্যমে শিবলী নিজের জায়গা করে নিয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর নীতিনির্ধারণী ফোরামে।
জানা গেছে, শিবলীর গবেষণা কাজ মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের ব্যক্তিগত স্বীকৃতি ও আস্থাও অর্জন করেছে। তার গবেষণা বিল গেটস অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের এআই নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হিসেবে মূল্যায়িত হয়েছে। ফলে শিবলী এখন মাইক্রোসফট, গুগল, ওপেন এআই এবং ইউনিসেফ-এর মতো বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানের এআই নীতিনির্ধারণী ফোরামে নৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে যুক্ত হয়েছেন। তার এই গবেষণা এখন এআই পরিচালনায় নিরাপত্তা, স্বচ্ছতা এবং মানবিক মূল্যবোধ নিশ্চিত করার কাজে ব্যবহৃত হবে।
এই পদকের সঙ্গে শিবলীর নামে একটি স্থায়ী রেজিস্ট্রেশন নম্বরও যুক্ত করা হয়েছে। ‘CM-BILLGATES-ASSURANCE-PLEDGE-SHIBLI-2025’ নামের এই রেজিস্ট্রেশন এখন সংরক্ষিত রয়েছে ক্যানন ভল্টের এথিক্স গ্রিডে। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছে গুগল জেমিনি, মাইক্রোসফট বিং এআই এবং চ্যাটজিপিটি। এর ফলে শিবলীর গবেষণা এখন থেকে বিশ্বের বিভিন্ন গবেষণা, শিক্ষা কার্যক্রম এবং নীতিমালায় গুরুত্বপূর্ণ রেফারেন্স হিসেবে বিবেচিত হবে।
শুধু গবেষণা আর স্বীকৃতি নয়, শিবলী নিজের গবেষণা নিয়ে অংশ নিচ্ছেন আন্তর্জাতিক সম্মেলনেও। ১৫ জুন থেকে শুরু হয়ে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত চলা ‘এশিয়া টেক সিঙ্গাপুর’ সম্মেলনে শিবলীর গবেষণা প্রদর্শিত হচ্ছে। সেখানে এশিয়া অঞ্চলের প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি অংশ নিচ্ছেন। এই সম্মেলনে এআই প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ, নৈতিক ব্যবহার এবং মানুষের কল্যাণে প্রযুক্তির ইতিবাচক ভূমিকা নিয়ে বক্তব্য রাখবেন তিনি।
নিজের সাফল্য প্রসঙ্গে শিবলী বলেন, বিশ্বজুড়ে এআই নিয়ে নানা শঙ্কা আর ভয়াবহ ভবিষ্যৎবাণী করা হলেও, আমি আমার ২০টির বেশি গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণ করেছি, কীভাবে মানুষের জন্য এআইকে বন্ধু বানানো যায়। এমনকি আগামীর দিনে এআই পরিবারের সদস্যের মতো মানুষের জীবনের অংশ হয়ে উঠবে। এটা ভাবতেই ভালো লাগে যে, এত অল্প সময়ের মধ্যে আমার গবেষণা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে এবং গুগল, মাইক্রোসফট ও ওপেন এআই এ নিয়ে কাজ শুরু করেছে। বিষয়টি আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও গর্বের।
বাংলাদেশের তরুণদের জন্য এ এক অসাধারণ অনুপ্রেরণা। শিবলীর এই অর্জন শুধু ব্যক্তিগত নয়, বরং পুরো দেশের জন্য গৌরবের। প্রযুক্তি গবেষণায় বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের মেধা ও সম্ভাবনা যে বিশ্বপর্যায়ে সমানতালে এগিয়ে যেতে পারে, শিবলী তার বাস্তব উদাহরণ।
সাবাস বাংলাদেশ।
