গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসন পুনরায় শুরুর ঘটনায় বাংলাদেশ সরকার তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আজ বিকাল ৪টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজে সরকারের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনের ওপর আগ্রাসনের প্রতি নিন্দা জানানো হয়।
ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিরীহ বেসামরিক মানুষের, বিশেষত শিশু ও নারীদের ব্যাপক প্রাণহানি ঘটেছে এবং অঞ্চলটিতে চলমান মানবিক সংকট আরও গভীরতর হয়েছে। বাংলাদেশ এটিকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন ও বিদ্যমান যুদ্ধবিরতি চুক্তিগুলোর প্রতি স্পষ্ট অবজ্ঞা হিসেবে দেখছে।
বাংলাদেশ সরকার ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় নির্বিচার বিমান হামলার কঠোর নিন্দা জানায়, যা মানবিক দুর্ভোগ বাড়িয়ে তুলেছে এবং অসহায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলেছে। বাংলাদেশ ইসরায়েলকে অবিলম্বে সমস্ত সামরিক অভিযান বন্ধ করতে, সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করতে এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষত জাতিসংঘের প্রতি দ্রুত এবং কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে সংঘাত বন্ধ হয়, বেসামরিক মানুষের জীবন রক্ষা করা যায় এবং গাজার অবরুদ্ধ জনগণের জন্য মানবিক সহায়তার অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা যায়।
ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের প্রতি তার নীতিগত অবস্থানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে, বাংলাদেশ ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায়সঙ্গত অধিকারের প্রতি অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে, যার মধ্যে রয়েছে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের সীমান্ত অনুযায়ী একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অধিকার।
বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যে একটি ব্যাপক, ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংলাপ পুনরায় শুরুর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে, যা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার অন্যতম প্রধান ভিত্তি। বাংলাদেশ সকল পক্ষের প্রতি কূটনীতি ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে অগ্রাধিকার দিয়ে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর চলমান সহিংসতা ও দুর্ভোগের অবসান ঘটানোর আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করে ফিলিস্তিন প্রশ্নের একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘের প্রস্তাব এবং ফিলিস্তিনি জনগণের শান্তি, মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।