আওয়ামী লীগ নেতার বিতর্কিত বক্তব্য - বিএনপি-জামায়াত ফিফটি-ফিফটি ভোট পাক - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
শিক্ষার নামে অব্যবস্থা: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রয়োজন কাঠামোগত সংস্কার নাবালিকা মেয়ের বিয়ে, কড়া পদক্ষেপ ইমারতে ইসলামিয়ার মৌলভীবাজারে সাহাবি নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে নারী আইনজীবী আটক কুমিল্লার মুরাদনগরে দরজা ভেঙে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ ও ভিডিও, গ্রেপ্তার ৫ আওয়ামী লীগ নেতার বিতর্কিত বক্তব্য – বিএনপি-জামায়াত ফিফটি-ফিফটি ভোট পাক বিশ্বে প্রথমবার শনাক্ত হলো G Negative রক্তের বিরল গ্রুপ আফগান সীমান্তে আত্মঘাতী হামলায় ১৩ পাকিস্তানি সেনা নিহত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী তৈয়্যবকে নিয়ে একি বোমা ফাটালেন জুলকারনাইন সায়ের? ফিলিস্তিনের মতো সাইপ্রাসও কি ইসরায়েলিদের দখলে যাচ্ছে? গাজায় মানবিক ত্রাণে ড্রাগের মিশ্রণ: মানবতাবিরোধী অপরাধের নতুন চেহারা

আওয়ামী লীগ নেতার বিতর্কিত বক্তব্য – বিএনপি-জামায়াত ফিফটি-ফিফটি ভোট পাক

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫
  • ১২ বার দেখা হয়েছে

সিলেটে আওয়ামী লীগ নেতার দেওয়া এক বক্তব্য ঘিরে ফের তোলপাড় শুরু হয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উত্তর রণিখাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কালা মিয়া জামায়াতের এক বৈঠকে গিয়ে বলেছেন, ‘আমরা চাইরাম, আমরার সেন্টারে জামায়াত অর্ধেক আর বিএনপি অর্ধেক ভোট পাক।’ এই মন্তব্যের একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার। সিলেট জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীনের মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা কালা মিয়া এই বক্তব্য দেন। শুক্রবার সকাল থেকে ভিডিওটি ব্যাপকভাবে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিওতে কালা মিয়াকে বলতে শোনা যায়, ‘আওয়ামী লীগ সরকার আবার ক্ষমতায় আসতে চাইলে অন্তত ১০-১৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে। যদি আসে, অনেক দিন লাগব। এই সুযোগে জামায়াত-বিএনপি ফিফটি-ফিফটি ভোট পাক।’

জামায়াত নেতা জয়নাল আবেদীনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আমরার চেয়ারম্যান সাব আইছইন, আল্লাহ হুকুম করলে সামনের নির্বাচনে এমপি হইবেন। পারলে ভালো। না পারলেও এলাকার ভোটারদের মূল্যায়ন হব। এমপি না হলেও আল্লাহ চাইলে পাস হইতে পারে।’

এ সময় কালা মিয়া আরও বলেন, ‘নতুন নাগরিক পার্টি বাইর হইছে। তাদের কতটা আসন পায়, দেখা যাইব। তারাও ইচ্ছা করে দেশ দখল করুক, তা চাই না। ইলেকশনে দাঁড়ায়া দেখা যাক, কত ধানে কত চাল বার হয়।’

সবচেয়ে বিতর্কিত বক্তব্য ছিল, ‘আমরাও চাইরাম জামায়াত অর্ধেক, বিএনপি অর্ধেক ভোট পাক। তারাও নির্যাতিত ছিল, আগে পায় নাই, এবার পাক।’

এই বক্তব্যের বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা সমকালকে বলেন, ‘কালা মিয়া সব তরকারির লবণ। যেখানে সুবিধা, সেখানে গিয়ে বক্তব্য দেন। উনি দলীয় নীতিমালার ধার ধারেন না।’ তিনি আরও বলেন, কালা মিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পরিচয় দেন এবং সবার ডাকে ছুটে যান।

ঘটনা নিয়ে জানতে একাধিকবার চেষ্টা করেও কালা মিয়ার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে জামায়াত নেতা জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আমি ওই এলাকায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। স্থানীয়দের নিয়ে এক বৈঠক হয়। সেখানে কালা মিয়া এসে বিভিন্ন প্রসঙ্গে কথাবার্তা বলেন। আমি তাঁকে আগে চিনতাম না।’

এই ঘটনায় আওয়ামী লীগের ভেতরে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। দলের স্থানীয় নেতারা বলছেন, জামায়াতের অনুষ্ঠানে গিয়ে এ ধরনের বক্তব্য দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ। কালা মিয়ার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি তুলেছেন অনেকেই।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT