ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসন নববর্ষের মঙ্গল শোভাযাত্রায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের ২০ ফুট ‘ভাস্কর্য’ রাখার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিলেও শেষ পর্যন্ত তা বাতিল করা হয়েছে।
বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
শহীদ আবু সাঈদের পরিবার ভাস্কর্য না রাখার অনুরোধ জানালে ঢাবি প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে।
বুধবার (২৬ মার্চ) ঢাবি চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আজাহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “শহীদ আবু সাঈদের ‘প্রতীকী মোটিফ’ নিয়ে প্রাথমিকভাবে একটি স্কেচ করা হয়েছিল।
তার বীরত্বকে তুলে ধরার চিন্তা করা হয়েছিল, তবে যেহেতু তার পরিবার এটি চাচ্ছে না, তাই আমরা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছি।”
শহীদ আবু সাঈদ তার জীবনদর্শনে ইসলামী চেতনার প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল ছিলেন।
ধর্মীয় মূল্যবোধ ও আদর্শ তার ব্যক্তিত্বে গভীর প্রভাব ফেলেছিল।
তার পরিবার এবং ঘনিষ্ঠজনরা বরাবরই বলেছেন, সাঈদ ইসলামের শিক্ষা অনুসরণ করে জীবনযাপন করতেন এবং তার আত্মত্যাগে সেই চেতনার প্রতিফলন ঘটেছে।
এর আগে, আবু সাঈদের মেজো ভাই আবু হোসেন বলেন, “আমরা মঙ্গল শোভাযাত্রায় আবু সাঈদের ভাস্কর্য চাই না, ভাস্কর্যের পক্ষে আমরা নই।
ইতোমধ্যে ওর বন্ধু-বান্ধবরা এসব নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করে প্রতিবাদ করছে। ফেসবুকে দেখে আমিও তাদের প্রতিবাদে সম্মতি জানিয়েছি যে, আমরা ভাস্কর্য চাই না।”
অবশেষে পরিবারের ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ঢাবি প্রশাসন শহীদ আবু সাঈদের ভাস্কর্য মঙ্গল শোভাযাত্রায় না রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।