বুধবার (৬ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে মশাল মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আ.ফ.ম কামালউদ্দিন হল, সালাম-বরকত হল, শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ হল, ২১ নং ছাত্র হল, কাজী নজরুল ইসলাম হল ও মওলানা ভাসানী হল অতিক্রম করে।
মশাল মিছিলের তারা ‘জ্বালোরে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘জামাত শিবির রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’, ‘রাজাকারের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘রাজাকারের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
পরবর্তীতে মশাল মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এসময় রাজাকারের প্রতিকৃতিতে আগুন দিতে দেখা যায় তাদের।
এসময় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জাবি শাখার সংগঠক সোহাগী সামিয়া বলেন, গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজাকারদের ছবি প্রদর্শন করা হয়েছে । আমরা বলতে চাই ঢাবি প্রশাসন এই কর্মসূচি করবার জন্য শিবিরকে অনুমতি দিয়েছে। একইসাথে আমরা দেখেছি, শিবির গণঅভ্যুত্থানের পরে দাবি করে এসেছে তারা রাজাকারদের প্রজন্ম নয়। রাজাকারদের দায় তারা নেবে না। কিন্তু গতকাল শিবির প্রমাণ করে দিয়েছে, তারা রাজাকারদের নেতা মানে। আমরা বলে দিতে চাই, এই বাংলাদেশ থেকে কেউ যদি মুক্তিযুদ্ধের অস্তিত্ব মুছে দিতে চায়, এই বাংলাদেশ থেকে তাদেরই অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে নিজেদের ইতিহাসে পরিণত করতে চাইলে তাদেরকেও আওয়ামীলীগের পরিণতি বরণ করতে হবে।“
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, জাবি সংসদের (একাংশ) সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ইমন বলেন, “আওয়ামী বিদ্বেষ পোষণ করা, ২৪ সালের জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণ কিংবা প্র্যাকটিসিং মুসলিম হওয়া মানেই রাজাকার না। রাজাকার তারা-ই, যারা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে এবং বাংলাদেশে গুম, খুন ও নিপীড়নের সহযোগিতা করেছে। এই রাজাকারদের কোনো ভাবে নরমালাইজ করার চেষ্টা করলে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী জনগণ কখনোই তা মেনে নেবে না। বাংলাদেশে কেবল তারাই রাজনীতি করবে, যারা এ দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে।”