পাঁচ ‘মাফিয়া’ কর্মকর্তার ছায়ায় পুলিশের অভ্যন্তরে অস্থিরতা - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশে এলজিবিটিকিউ নিয়ে কাজ করবে ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যে ভারতের ৬ প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা লালমনিরহাট বিমানবন্দর চালুর উদ্যোগ – ভূরাজনৈতিক শঙ্কা ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনার যুগপৎ জাগরণ রোহিঙ্গাদের ওপর আরাকান আর্মির নির্মম নির্যাতনের তথ্য, ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ পর্তুগালে ভয়াবহ দাবানল: সাতজনের মৃত্যু, বহু এলাকা পুড়েছে সাপে কেটেছিল এক সাপুড়েকে, সেই সাপই কাঁচা চিবিয়ে খেলেন আরেক সাপুড়ে শেরপুরে মাছরাঙা টেলিভিশনের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ট্রাম্পের নতুন সিদ্ধান্তে ভারতে ২৫ শতাংশ শুল্ক, ১ আগস্ট থেকে কার্যকর ULAB এর ওয়ার্কশপে BUPGAC এর গঠনমূলক অংশগ্রহণ আত্রাইয়ে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১১৩ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

পাঁচ ‘মাফিয়া’ কর্মকর্তার ছায়ায় পুলিশের অভ্যন্তরে অস্থিরতা

সাবাস বাংলাদেশ ডেস্ক
  • আপডেট সময় রবিবার, ৬ জুলাই, ২০২৫
  • ১৭ বার দেখা হয়েছে


সরকার বদল হলেও বদলায়নি পুলিশের অভ্যন্তরের ছায়া শাসন। গত জানুয়ারিতে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের শীর্ষ নিরাপত্তা বাহিনী পুলিশে নতুন নেতৃত্ব আসলেও, পুরনো সরকারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত পাঁচজন শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তার প্রভাব এখনও প্রবলভাবে বিরাজ করছে। বাহিনীর ভেতরে ও বাইরে এদের ‘পাঁচ মাফিয়া’ নামে চিহ্নিত করা হচ্ছে।

এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ—তারা রাজনীতি-নির্ভর পদোন্নতি, স্বজনপ্রীতি ও প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিজেদের ঘনিষ্ঠদের বসিয়ে একটি ‘ছায়া নেটওয়ার্ক’ গড়ে তুলেছেন, যা এখনো সচল আছে। এর ফলে পুলিশের অভ্যন্তরে সৎ ও মেধাবী কর্মকর্তারা উপেক্ষিত হচ্ছেন বলে জানা গেছে।


কাদের নিয়ে এই ‘মাফিয়া’ গোষ্ঠী?

১. মনিরুল ইসলাম

পূর্বতন স্পেশাল ব্রাঞ্চ (SB) প্রধান, অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। শেখ হাসিনা সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে তার পরিচিতি রয়েছে। পুলিশের একাধিক শীর্ষ পদে তার আস্থাভাজনদের এখনো দেখা যাচ্ছে।

২. তৌফিক মাহবুব চৌধুরী

বর্তমানে CID ও DB-তে কর্মরত। রাজনৈতিক আনুগত্যের মাধ্যমে একের পর এক পদোন্নতি পাওয়া এই কর্মকর্তা দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের মানবসম্পদ বিভাগে প্রভাব বিস্তার করে চলেছেন।

৩. মাসুদুর রহমান ভূঁইয়া

বর্তমানে পুলিশ একাডেমির প্রিন্সিপাল। অতীতে খুলনা-গোপালগঞ্জ অঞ্চলে নির্যাতন ও দমন-পীড়নের মাধ্যমে বিতর্কিত হন। অভিযোগ রয়েছে তিনি দলীয় ইঙ্গিতে পুলিশি অভিযান পরিচালনা করেছেন।

৪. আবদুল আলিম মাহমুদ

২০১৮ সালের নির্বাচনে বিরোধী দল দমনে রংপুর অঞ্চলে তার ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। বর্তমানে ডিআইজি পদে বহাল।

৫. আবু হাসান মোহাম্মদ তারিক

মানবসম্পদ, আর্থিক প্রশাসনসহ গুরুত্বপূর্ণ শাখায় দীর্ঘদিন কর্তৃত্ব করে আসছেন। বর্তমানে তিনি পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর। মনিরুল ইসলামপন্থী হিসেবে পরিচিত এই কর্মকর্তা অতীতেও বিতর্কিতভাবে পদোন্নতি পেয়েছেন।


গোয়েন্দা পর্যবেক্ষণ ও প্রতিক্রিয়া

পুলিশ বাহিনীর একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এই গোষ্ঠী নতুন সরকারের নীতিমালাকে পাশ কাটিয়ে পুরনো কাঠামো ধরে রাখার চেষ্টা করছে। পেশাদারিত্বের চেয়ে রাজনৈতিক আনুগত্যকে প্রাধান্য দিয়ে বাহিনীতে এক ধরনের ‘অদৃশ্য বাধা’ সৃষ্টি করা হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই ছায়া নেটওয়ার্ক ভেঙে না দিলে নতুন সরকারের প্রতিশ্রুত গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং নিরপেক্ষ প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তোলার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ব্যাহত হবে।


সতর্ক বার্তা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা মনে করছেন, “পুলিশ বাহিনীকে দলীয়করণের ছায়া থেকে মুক্ত না করলে, জনআস্থা ফিরে আসবে না।”
তারা বর্তমান সরকারের কাছে দ্রুত এই গোষ্ঠীর প্রভাব খতিয়ে দেখে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT