০১ জুলাই ২০২৫
মার্কিন প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সংস্থা (ডিএসসিএ) জানায়, চুক্তির আওতায় ইসরায়েল পাবে ৩ হাজার ৮৪৫টি কেএমইউ-৫৫৮বি/বি জয়েন্ট ডাইরেক্ট অ্যাটাক মিনিশন (জেডিএএম) গাইডেন্স কিট, যা বিএলইউ-১০৯ বোমায় ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি ৩ হাজার ২৮০টি কেএমইউ-৫৭২এফ/বি জেডিএএম কিট সরবরাহ করা হবে, যা এমকে-৮২ বোমায় ব্যবহৃত হয়। চুক্তির আওতায় প্রকৌশল, সরবরাহ ও প্রযুক্তিগত সহায়তাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এই অনুমোদন এমন এক সময়ে এসেছে, যখন গাজায় প্রতিদিনই ইসরায়েলি সামরিক হামলায় প্রাণ হারাচ্ছে অসংখ্য মানুষ। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫৬ হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনি, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
শুধুমাত্র সোমবার ইসরায়েলি বিমান হামলা ও কামান গোলায় অন্তত ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। হামলার লক্ষ্য ছিল জনবহুল এলাকা ও বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয় কেন্দ্র।
এই প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র সমালোচনা দেখা দিয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাসহ বিভিন্ন বিশ্লেষকরা এই অস্ত্র সহায়তাকে ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধে যুক্তরাষ্ট্রের ‘নৈতিক সহায়তা’ বলে মন্তব্য করেছেন।
উল্লেখ্য, গত বছর (২০২৪ সালের নভেম্বরে) আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। একইসঙ্গে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) একটি মামলা চলমান রয়েছে।