ইরানের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় কি হতে পারে - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
হরমুজ প্রণালী বন্ধের ইঙ্গিত ইরানি পার্লামেন্টে, বিশ্ববাজারে আতঙ্ক উত্তরায় সাবেক সিইসি কে এম নূরুল হুদা আটক স্বাস্থ্য ও জীবন বীমার আওতায় রুয়েট শিক্ষার্থীরা, বছরে পাবেন এক লক্ষ ১০ হাজার টাকার স্বাস্থ্যসেবা ইসরায়েলের মিত্র ভারত এখন ইরানের পাশে! ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা নিয়ে যা বলছে ওআইসি লিখছে এআই, ঘুমাচ্ছে মস্তিষ্ক নবীজিকে কটূক্তির অভিযোগে বাবা-ছেলে আটক, উত্তপ্ত লালমনিরহাট সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের পর্যালোচনায় ১৪ সদস্যের কমিটি গঠন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে যুদ্ধের বাজি খেলায় ট্রাম্প: বিজয় না বিপর্যয়? অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক সংস্কারসহ ১২৫ দফা রাবি ছাত্রশিবিরের

ইরানের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় কি হতে পারে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫
  • ৪৮ বার দেখা হয়েছে

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ভয়াবহ পারমাণবিক হামলার জবাব দিতে প্রস্তুত ইরান। দেশটির সামরিক বাহিনী থেকে শুরু করে কুদস বাহিনী, হিজবুল্লাহ ও ড্রোন স্কোয়াড—সবাই এখন পাল্টা আঘাতের জন্য তৈরি। আকাশ, সমুদ্র ও সাইবার আঘাত—তিন ফ্রন্টেই যুদ্ধ শুরু করার হুমকি দিয়েছে তেহরান।

‘যুদ্ধ তো মাত্র শুরু।’ এমন হুঁশিয়ারি দিয়েই পাল্টা প্রতিশোধের ঘোষণা দিয়েছে ইরান। মার্কিন-ইসরায়েলি হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে যুদ্ধের কালো মেঘ। এবার পাল্টা ধ্বংসযজ্ঞে নামার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করছে তেহরান। ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও কুদস বাহিনী (IRGC) যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলার পর থেকেই প্রতিশোধমূলক এক বিস্তৃত ও বহুপদক্ষেপ কৌশল গ্রহণ করতে যাচ্ছে।

প্রথম পর্যায়ে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলো লক্ষ্যভেদ করা হবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদেহ জানিয়েছিলেন, “যদি যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালায়, আমরা তাদের ঘাঁটিগুলোকে সম্পূর্ণভাবে লক্ষ্য করব” । ঘাঁটিগুলো মিনি-ব্যালিস্টিক ও ড্রোন হামলার উদ্দেশ্যবস্তু হয়ে উঠতে পারে।

দ্বিতীয় পর্যায়ে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নির্ধারিত হচ্ছে। কুদস বাহিনী ‘Operation True Promise’ কোডনামে বড় একটি পাল্টা অভিযান প্রক্রিয়াধীন। এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে Fattah (Mach-13 হাইপারসোনিক), Emad, Ghadr, Kheibar Shekan সহ অন্যান্য ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, এবং Shahed-131/136 ধরনের ‘কামিকেজ’ ড্রোন।
— ২০২৪ এপ্রিলের True Promise-1 অভিযানে ৩৫০টির বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র একযোগে লঞ্চ করা হয়েছিল, যা ইসরায়েলকে ব্যাপক ক্ষতি ও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছিল

তৃতীয় পর্যায়ে সাইবার ও জ্বালানি যুদ্ধ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইরান সম্ভাব্যভাবে হরমুজ প্রণালীতে সামুদ্রিক নিষেধাজ্ঞাসহ বিশ্ববাজারে তেলের সীমিত সরবরাহের উদ্দেশ্যে সাইবার আক্রমণের পরিকল্পনা করছে

চতুর্থ পর্যায়ে প্রক্সি সংকট: ইরানের নিয়ন্ত্রিত হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের হাউতিরা, সিরিয়া ও ইরাকি শিয়া মিলিশিয়া ব্যবহার করে ইসরায়েল ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালানো হবে

পঞ্চম পর্যায়ে কূটনৈতিক চাপ: ইরান এখন তার মিত্র রাষ্ট্র— রাশিয়া তুরস্ক, জার্মানি, ফ্রান্স, — এর মাধ্যমে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে চেষ্টার পরিকল্পনা চালাতে পারে ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানের এই কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা “হাইব্রিড প্রতিক্রিয়া যুদ্ধ” নামে চিহ্নিত হচ্ছে। যা আকাশ, মাটিতে প্রতিশোধমূলক হামলা, সামুদ্রিক ও সাইবার পরিবেশে যুদ্ধ, আর সৈনিক-প্রক্সি হামলার সমন্বয় ঘটাচ্ছে। এই ব্যবস্থায় তারা যতটা শারীরিক আঘাত করতে চান, তেমনি আন্তর্জাতিকভাবে চাপ তৈরি করছি—বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল বিরোধী ধারা সৃষ্টি করে।

কারা প্রধান টার্গেট হতে পারে?

  • গোয়েন্দা সূত্র বলছে, মার্কিন ঘাঁটিগুলো (যেমন: কুয়েত, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরাকি বাগদাদ, ইরিয়ান উপকূলীয় ঘাঁটি) প্রথম  হামলার স্বীকার হতে পারে।

  • ইসরাইল লক্ষ্য করে সামরিক ঘাঁটি, বিমানবন্দর ও আইডিএফ কমান্ডওয়ালা বেসগুলোকে টার্গেট করা হবে

এই প্রস্তুতি ইরানের জন্য কী ফল দিতে পারে?

— সামরিক দিক থেকে বর্তমানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের মজুদ কমে যেতে পারে (যেমন, গেল True Promise‑1–এ ৯০% ব্যবহৃত হয়েছে Fattah ও Emad) 
— তেলের দাম বিশ্ববাজারে কয়েক ডলার ভারী হবে এবং গ্লোবাল সাইবার স্থিতি বিকৃত হবে।
— কূটনৈতিক সম্মেলন যেমন ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘ, G7 এ উত্তেজনা বাড়বে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT