দেশের শীর্ষ অনলাইন প্রোগ্রামিং শেখার প্ল্যাটফর্ম -সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ঝংকার মাহবুব পরিচালিত প্রোগ্রামিং হিরো আয়োজন করলো বহুল প্রত্যাশিত “প্রোগ্রামিং হিরো গ্রাজুয়েশন সেরেমনি ১.০ ”, যেখানে একত্রিত হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা হাজারো শিক্ষার্থী, সফটওয়্যার ডেভেলপার, মেন্টর এবং টিম মেম্বাররা।
গতকাল ঢাকার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার’স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত এই জমকালো অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রায় ৫০০০+ “হিরো” — যারা প্রোগ্রামিং হিরোর কোর্স করে এখন কাজ করছেন দেশি-বিদেশি বিভিন্ন আইটি কোম্পানিতে। অনুষ্ঠানে ছিলো মিটআপ, প্রোজেক্ট প্রেজেন্টেশন, ক্যারিয়ার গাইডলাইন সেশন, মেন্টরের সঙ্গে আড্ডা এবং বিশেষ গেস্টদের অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য।
প্রোগ্রামিং হিরো’র সিটিও আব্দুর রাকিব বলেন,
“আমাদের স্বপ্নটা অনেক বড় কিন্ত কিছুটা কঠিন বটে । কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিশেষ করে বেকারত্ব সমস্যার সমাধানে প্রোগ্রামিং হিরো এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমি মনে করি । আশা করি আগামীতে আমরা আজকের এ অনুষ্ঠান আরো বড় পরিসরে আর্মি স্টেডিয়াম এ দশ হাজার লোকের জন্য আয়োজন করতে পারবো ইনশাআল্লাহ । ”
প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ৩ লক্ষ+ শিক্ষার্থী কোর্স সম্পন্ন করেছেন, যাদের মধ্যে বহুজন ফ্রিল্যান্সার, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ও উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
২০২৪ সালেই প্রোগ্রামিং হিরো’র ৭০০০+ গ্র্যাজুয়েট পেয়েছেন বিদেশি কোম্পানিতে রিমোট জব, যার মধ্যে ইউএস, কানাডা, ইউকে ও ইউরোপে চাকরির হার সবচেয়ে বেশি।
প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের বাইরে ভারত, নাইজেরিয়া ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীদের কাছেও জনপ্রিয়তা পাচ্ছে—ডেভেলপিং নেশনের তরুণদের আইটি দক্ষতায় এগিয়ে নিতে এটি একটি বড় অর্জন।
নারী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ স্কলারশিপ ও কোচিং সুবিধার মাধ্যমে উইমেন ইন টেক মুভমেন্টেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের আইটি খাতের শীর্ষস্থানীয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানপ্রধানরা। ছিলো লাইভ কনসার্ট, গেমিং জোন এবং র্যাফেল ড্রও।
রিইউনিয়নে অনেক হিরোই তাদের সাফল্যের গল্প শেয়ার করেছেন—যেখানে কেউ একজন রিকশাচালকের সন্তান হয়ে এখন ইউএস-ভিত্তিক কোম্পানিতে জ্যুনিয়র ডেভেলপার, আবার কেউ সরকারি চাকরি ছেড়ে হয়ে উঠেছেন ফুলটাইম ফ্রিল্যান্সার।
অনেকেই জানিয়েছেন, এমন আয়োজন বছরে একাধিকবার হলে কমিউনিটির মধ্যে কানেকশন ও ইনস্পিরেশন আরও বাড়বে।
”লেটস কোড ইওর ক্যারিয়ার —এই মিশনকে সামনে রেখে ঝংকার মাহবুবের প্রতিষ্ঠিত প্রোগ্রামিং হিরো ভবিষ্যতেও এ ধরনের বড় পরিসরের আয়োজন করবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।