নোবেল শান্তি পুরষ্কারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম সুপারিশ করলো পাকিস্তান - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
প্রোগ্রামিং হিরো’র সাফল্যের উৎসব: “প্রোগ্রামিং হিরো গ্রাজুয়েশন সেরেমনি ১.০ ” মাতালো ঢাকা! আন্দোলনের মুখে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা ট্রাম্প-মুনির বৈঠকের পরও ইরানের পাশে থাকার ঘোষণা পাকিস্তানের নতুন বাজারে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ ইসরায়েলকে জাতিসংঘে তুলোধুনো করলো পাকিস্তান-চীন-রাশিয়া-আলজেরিয়া গাজায় নির্মম ইসরায়েলি গণহত্যা চলমান: শুক্রবারেই শহীদ ৮২ জন অবশেষে মুক্ত প্যালেস্টাইনপন্থী ছাত্রনেতা মাহমুদ খালিল বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তান ত্রিপক্ষীয় প্ল্যাটফর্ম গঠনের সিদ্ধান্ত নোবেল শান্তি পুরষ্কারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম সুপারিশ করলো পাকিস্তান টেলিগ্রাম প্রতিষ্ঠাতার ১৩.৯ বিলিয়ন ডলার ভাগ হবে শতাধিক সন্তানের মাঝে

নোবেল শান্তি পুরষ্কারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম সুপারিশ করলো পাকিস্তান

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫
  • ৫৭ বার দেখা হয়েছে

পাকিস্তান ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে সুপারিশ করেছে। পাকিস্তানের সাম্প্রতিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে এপ্রিল মাসে সৃষ্ট যুদ্ধ পরিস্থিতি শান্ত করতে ট্রাম্প “নেতৃত্বপূর্ণ ভূমিকা” পালন করেছেন, যার ফলে বড় ধরনের সংঘর্ষ এড়ানো গেছে।

এপ্রিলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চারদিনব্যাপী সীমান্তে গোলাগুলি চলে। পাকিস্তান এটিকে ভারতের আগ্রাসন বলে দাবি করে এবং পাল্টা সামরিক অভিযানে নামে। সেই উত্তপ্ত মুহূর্তে ট্রাম্প ব্যক্তিগতভাবে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেনের সঙ্গে কয়েকদফা বৈঠক করেন।

এরপরেই পরিস্থিতি শান্ত হয়। ট্রাম্প দাবি করেন, তাঁর মধ্যস্থতায় দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পরিস্থিতি তৈরি হয়। পাকিস্তানও এই বক্তব্যের পক্ষে অবস্থান নিয়ে তাঁকে ‘শান্তির দূত’ হিসেবে আখ্যা দেয়।

পাক সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, “ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাহসী ও কার্যকর নেতৃত্ব দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় ঐতিহাসিক অবদান রেখেছে। তাঁর এই ভূমিকাই তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য করে তোলে।”

এই সুপারিশের পেছনে জেনারেল আসিম মুনিরের বড় ভূমিকা ছিল। তিনি সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎ করেন, যেখানে নোবেল মনোনয়ন নিয়ে আলোচনা হয় বলেও সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে।

তবে এই নিয়ে বিতর্কও তৈরি হয়েছে। ভারত দাবি করেছে, ট্রাম্পের কোনো মধ্যস্থতা ছিল না—বরং দুই দেশই নিজেদের সামরিক সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে সংঘর্ষ থেকে সরে আসে। আবার অনেক বিশ্লেষক বলছেন, পাকিস্তান এই মনোনয়নের মাধ্যমে ট্রাম্পের সঙ্গে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে চায়, কারণ ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং জনপ্রিয়তা অর্জন করছেন।

নোবেল কমিটি এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। তবে নিয়ম অনুযায়ী, মনোনয়ন পাওয়া মানেই পুরস্কার নিশ্চিত নয়। মনোনীতদের তালিকা গোপন রাখা হয় এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বছরের শেষের দিকে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT