১৯ জুন ২০২৫
মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির আশঙ্কা গভীরতর হচ্ছে। ১৩ জুন ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসরায়েল হঠাৎ করে ভয়াবহ বিমান হামলা চালায়, যার ফলে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়। হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়।
এই হামলার পাল্টা জবাব হিসেবে ইরান ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়। টানা ছয়দিন ধরে চলা এই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
এ প্রেক্ষাপটে এবার সরব হলো উত্তর কোরিয়া। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের প্রশাসন ইসরায়েলের হামলাকে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ আখ্যা দিয়ে ইরানের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানায়, এ ধরনের হামলা ইরানের সার্বভৌমত্বের চরম লঙ্ঘন এবং পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে যুদ্ধের মুখোমুখি করে দিয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, “ইসরায়েলের এই আগ্রাসন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা জোটের মদদপুষ্ট। ইসরায়েল এখন মধ্যপ্রাচ্যের জন্য এক বিপজ্জনক ক্যান্সারে রূপ নিয়েছে, যা বৈশ্বিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
এর আগে রাশিয়া ও চীনও ইসরায়েলের এ হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ইরানের জবাবকে আত্মরক্ষার অধিকার বলে উল্লেখ করে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, দ্রুত যদি এ উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে না আনা যায়, তাহলে এই সংঘাত বিশ্ব রাজনীতিতে ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।