স্বাধীনতাপূর্ব বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
ইসরাইলি হামলায় ইরানের বিমানবাহিনী প্রধান নিহত: হামাসের নিন্দা ও বিশ্বকে ঐক্যের আহ্বান রাবির নীল-সাদা বাসের জগৎ যেন প্রেমময় কবিতা তারেক রহমান ও ড. ইউনূসের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক : বিএনপির ভবিষ্যৎ কৌশলে সম্ভাব্য টার্নিং পয়েন্ট ফিলিস্তিনের পক্ষে সরব হওয়াতে পিয়ের্স মরগ্যানকে হুমকি রাজবাড়ীর পাংশায় ইয়াবা ব্যবসায়ী বরকত সরদার আটক নির্বাচনের পর দায়িত্বে থাকার আগ্রহ নেই, অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটের আশা-ড. ইউনূস স্বাধীনতাপূর্ব বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ঝিনাইদহে কৃষি শিক্ষার্থীদের ঈদ উপলক্ষ্যে মিলনমেলা ও নবীনবরণ অনুষ্ঠিত মোটরসাইকেল চুরির গোপন কারবার, পুলিশের জালে মেকানিক নিখোঁজ ব্যক্তির মৃত্যু নিয়ে রহস্য: নদীতে ভাসছে লাশ

স্বাধীনতাপূর্ব বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত

সিনান সাবিত
  • আপডেট সময় বুধবার, ১১ জুন, ২০২৫
  • ৫৪ বার দেখা হয়েছে
এআই জেনারেটেড ছবি
এআই জেনারেটেড ছবি

অনেকেই জানেন না, স্বাধীনতার আগে বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের) নিজস্ব একটি প্রাদেশিক জাতীয় সংগীত ছিল। নাম ছিল—“পাকিস্তান জিন্দাবাদ”। এই গানটি ১৯৫৬ সালে রচিত হয় এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার আগ পর্যন্ত এটি পূর্ব পাকিস্তানে নিয়মিত গাওয়া হত।

এই গানটির কথা লিখেছিলেন বিখ্যাত কবি গোলাম মোস্তফা। গানটি নেওয়া হয়েছিল তাঁর লেখা একটি কবিতা থেকে, যার নাম ছিল তারানা-ই-পাকিস্তান। সুর করেছিলেন সুরকার নাজির আহমেদ। গানটি ছিল বাংলা ভাষায় রচিত, যা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছিল। মূল জাতীয় সংগীত ছিল উর্দু ভাষার “পাক সার জমিন সাদ বাদ”, তবে বাংলা ভাষার জনগণের আবেগ ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে সম্মান জানাতে “পাকিস্তান জিন্দাবাদ” গানটি ব্যবহার করা হত একটি আঞ্চলিক বা প্রাদেশিক জাতীয় সংগীত হিসেবে। ১৯৫৬ সাল থেকে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানের সরকারি স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রতিদিন এই গান গাওয়া হত।

কিন্তু বিধি বাম! ভাষা আন্দোলন, রাজনৈতিক বৈষম্য এবং সাংস্কৃতিক নিপীড়ন ধীরে ধীরে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণকে বিচ্ছিন্নতার পথে নিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়, আর “পাকিস্তান জিন্দাবাদ” গানটি ইতিহাসে জায়গা করে নেয় একটি বিলুপ্ত অধ্যায় হিসেবে।

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গ্রহণ করা হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা “আমার সোনার বাংলা”।

আজকের প্রজন্মের অনেকেই এই ইতিহাস জানেন না। “পাকিস্তান জিন্দাবাদ” গানটি শুধু একটি সঙ্গীত নয়, এটি একটি সময়ের দলিল। একটানে পড়ে ফেলতে পারেন আমাদের সেই প্রাক্তন জাতীয় সংগীতটি—

পাকিস্তান জিন্দাবাদ, পাকিস্তান জিন্দাবাদ, পাকিস্তান জিন্দাবাদ
পূর্ব বাংলার শ্যামলিমায়, পঞ্চনদীর তীরে অরুণিমায়
ধূসর সিন্ধুর মরু সাহারায়, ঝাণ্ডা জাগে যে আজাদ

পাকিস্তান জিন্দাবাদ, পাকিস্তান জিন্দাবাদ, পাকিস্তান জিন্দাবাদ
সীমান্তের হিম গিরির চূড়ায়, বিজয় নিশান তার আকাশে উড়ায়
ঝিলাম বিপাশা প্রতিচ্ছায়ায়, পেল আজাদীর স্বাদ

পাকিস্তান জিন্দাবাদ, পাকিস্তান জিন্দাবাদ, পাকিস্তান জিন্দাবাদ
সাম্য মৈত্রীর বন্ধন হার, তৌহীদী দীক্ষা কণ্ঠে যাহার
তিস্তা বিতস্তা আজো মােছে তার, গ্লানি দুঃখ বিষাদ

পাকিস্তান জিন্দাবাদ, পাকিস্তান জিন্দাবাদ, পাকিস্তান জিন্দাবাদ
খাইবার দ্বারে তার পতাকাবাহী, মেঘনার কূলে যত বীর সিপাহী
প্রাচ্য প্রতীচ্যের মিলন গাহি, দুনিয়া করে যে আবাদ

পাকিস্তান জিন্দাবাদ, পাকিস্তান জিন্দাবাদ, পাকিস্তান জিন্দাবাদ

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT