
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জিয়া পরিষদ কর্মকর্তা ইউনিটের উদ্যোগে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৮ মে) সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলানায়তনের করিডোরে আলোচনা সভা শেষে দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
জিয়া পরিষদের সভাপতি মোহা:আলাউদ্দীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, বিশেষ অতিথি অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, প্রধান আলোচক হিসেবে অধ্যাপক ড. মোঃ এমতাজ হোসেন, ইউট্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ তোজাম্মেল হোসেন, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ওবায়দুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান সহ বিএনপি পন্থী বিভিন্ন শিক্ষক, কর্মকর্তা, কামচারী ও ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক ড. মোঃ এমতাজ হোসেন বলেন, বর্তমান সরকারের মতো শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান উন্নত বিশ্বের সাথে সম্পর্ক গড়েছিলেন যার জন্য তাকে জীবন দিতে হয়েছে। খালেদা জিয়ার সম্পর্ক ছিল ইউরোপ, চীনসহ উন্নত দেশগুলোর সাথে এজন্য তাকে এক এগারোর মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। জিয়াউর রহমানকে মানুষ ভালোবাসতেন। তার স্বাধীনতার ঘোষনায় সমগ্র দেশের মানুষ একত্রিত হয়েছিল। দেশের উন্নয়নের জন্য গার্মেন্টস সেক্টর ও বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পথ প্রথম জিয়াউর রহমান সৃষ্টি করেন। তাই জিয়াউর রহমানের অবদান ভোলার নয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর বলেন, রাজনীতি হবে মানুষের জন্য তাহলে মানুষের খুব নিকটবর্তী হওয়া যাবে, এই রাজনীতি করেছিলেন জিয়াউর রহমান, আর দূর্নীতি সে তো তার ডিকশনারিতে ছিলো না। আপনি যদি জিয়াউর রহমান কে অনুসরণ করেন তাহলে আপনাকে তার আদর্শ গুলো লালন করতে হবে নতুবা প্রতি বছর এভাবে আলোচনা সভা দোয়া মাহফিল করে লাভ নেই।বরং আপনার আশে পাশে যেসব মানুষ সারা বছর খাবারের কষ্ট পায় তাদের কে খাদ্য দান করুন। এই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় একটি মাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যেটি জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠা করেছিলো সুতরাং আমারা দূর্নীতি মুক্ত থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয় কে ওন করতে হবে যেন এই বিশ্ববিদ্যালয় হয় জিয়াউর রহমানের আলাদা একটা পরিচয়।