২৬ মে ২০২৫
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) বাংলাদেশ, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কিউবা, কেনিয়া, গিনি, সিসিলস, তানজানিয়া, অ্যাঙ্গোলা, নাইজেরিয়া, নামিবিয়া, মোজাম্বিক, গ্যাবন, পাপুয়া নিউগিনি, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ এবং তাজিকিস্তানে সামরিক সুবিধা ও অবকাঠামো গড়ে তুলতে চায়।
২০২৫ সালের ১১ মে পর্যন্ত সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি এই প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে আধিপত্য বিস্তারের কৌশলের অংশ হিসেবে চীন এ ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা পূর্ব এশিয়ায় প্রভাব বিস্তার, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈশ্বিক নেতৃত্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতা, তাইওয়ানকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে একীভূতকরণ এবং প্রযুক্তিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে এগোচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চীন এখন কূটনীতি, তথ্য, সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তি কাজে লাগিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের মোকাবিলায় বৈশ্বিক সক্ষমতা বাড়াচ্ছে। একইসঙ্গে তারা এসব দেশের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির সুযোগ খুঁজছে। এছাড়া, ফিলিপাইন ও তাইওয়ানের মতো দেশগুলোর ওপর চীন ভবিষ্যতে চাপ আরও বাড়াতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
এদিকে প্রতিবেশী ভারতকে ‘অস্তিত্বের জন্য হুমকি’ হিসেবে দেখে পাকিস্তান—এমন মন্তব্যও উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। বলা হয়, ভারতের প্রচলিত সামরিক সক্ষমতা মোকাবিলায় পাকিস্তান তাদের প্রতিরক্ষা খাতে আধুনিকায়ন অব্যাহত রেখেছে, যার মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থাও অন্তর্ভুক্ত।