ছাত্রলীগের টর্চার সেলকে পাঠাগারে রূপান্তর - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
কোটায় ভর্তি প্রসঙ্গে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক শর্ত আরোপ রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে গরুবাহী একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে উল্টে দুই ব্যবসায়ী নিহত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল আগামীকাল রোববার বিসিবির নতুন সভাপতি – আমিনুল ইসলাম বুলবুল ঈদ-পরবর্তী ঢাকামুখী যাত্রীদের জন্য শুরু হয়েছে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি এক মাসের মধ্যে চালু হতে যাচ্ছে ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা ‘গুগল পে’ উদ্বোধনের আগেই ধসে পড়লো কুয়াকাটার ‘মেরিন ড্রাইভ’ জাপান থেকে বাংলাদেশকে ১.০৬৩ বিলিয়ন ডলার সহায়তা, রেলপথ উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সংস্কারের চুক্তি ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে হুতিদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বন্ধ ছিল বিমান চলাচল দক্ষিণ কোরিয়ায় আগাম ভোটে রেকর্ড, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে তীব্র উত্তেজনা

ছাত্রলীগের টর্চার সেলকে পাঠাগারে রূপান্তর

মিজানুর রহমান (ইবি প্রতিনিধি)
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৬১ বার দেখা হয়েছে
পাঠাগারে রূপান্তরিত হওয়া ইবির সেই গণরুম
পাঠাগারে রূপান্তরিত হওয়া ইবির সেই গণরুম
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ (আবাসিক) হলের গনরুম নামক ৩৩০ নম্বর কক্ষকে শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠাগার হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মনোরম পরিবেশ সৃষ্টির জন্য লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. আকতার হোসেন এই সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) পাঠকক্ষের সিংহভাগ কাজ সম্পন্ন হয় এবং আগামী সপ্তাহে এটি উদ্বোধনের করা হবে বলে জানা গেছে।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, লালন শাহ হলের ৩৩০ নম্বর গনরুম একসময় ছাত্রলীগের টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহৃত হতো। একাধিকবার এই রুমে শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ ওঠে। পাঁচ আগস্টের পর এই গনরুমকে বাতিল করে পাঠকক্ষ করার পরিকল্পনা করা হয়।
সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল ইসলাম বলেন, “লালন শাহ হলের শিক্ষার জন্য প্রয়োজন নিরবচ্ছিন্ন পড়াশোনার পরিবেশ। ২০০৯ সালে লালন শাহ হল প্রতিষ্ঠা হয় কিন্তু শিক্ষার্থীদের পড়ার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না। দীর্ঘ ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে গণরুমগুলোকে অপরাজনীতির কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হতো। এতে করে হলে পড়াশোনার পরিবেশ ছিল না। জুলাই বিপ্লবের পর আমরা পড়াশোনার সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করি। তারই ধারাবাহিকতায় গত ডিসেম্বরে হল প্রশাসনের কাছে রিডিং রুমের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। কিন্তু হল ফান্ডে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় কাজ করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে অবহিত করা হলে তাদের সহযোগিতা এবং আমাদের পরামর্শক্রমে প্রভোস্ট  স্যারের প্রচেষ্টায় আজকের এইমনোরম পরিবেশ। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি হলে এমন সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হোক।”
লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. আকতার হোসেন বলেন, “পাঁচ আগস্টের পর থেকে আমি শিক্ষার্থীদের জন্য নতুনভাবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। লালন শাহ হলের ৩৩০ নাম্বার রুম আগে পাঠকক্ষ ছিল। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ছাত্রলীগ এটাকে গনরুমে পরিনত করে। ইতিমধ্যে গনরুম বাতিল করেছি এবং গনরুমকে পাঠকক্ষে রূপান্তর করেছি। এখানে আমি চাকরির কিছু বই কিনে দেব এবং আশা করব শিক্ষার্থীরা যেন সময় নষ্ট না করে মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করে। পাঠকক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা ও পরবর্তীতে এসি লাগানোর পরিকল্পনা আছে। আমার আরও কিছু পরিকল্পনা আছে যা অর্থাভাবে করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রিডিং রুমটি উদ্বোধনের ব্যবস্থা করবো।”

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT