ঢাকায় আয়নাঘর পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
তুরস্কের দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কুবির সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষর কওমি ডিগ্রিধারীদের জন্য কাজী হওয়ার দরজা খুলল; আরও সরকারি খাত উন্মুক্তের দাবি সীমান্তে তীব্র গুলি বিনিময়, পাকিস্তান–আফগানিস্তান উত্তেজনা চরমে জাককানইবিতে সমুদ্র ও জলবায়ু–বিষয়ক ‘Exploring the Blue Earth’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত দুধকুমার নদে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে এসিল্যান্ডের হস্তক্ষেপ, স্বস্তিতে তীরবর্তী বাসিন্দারা ইবিতে জুলাই বিপ্লববিরোধী অভিযোগে ফের ৯ শিক্ষক বরখাস্ত নানিয়ারচর জোন (১৭ই বেংগল) এর মানবিক উদ্যো‌গে বিনামূল্যে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রথম নির্বাহী পরিচালক হলেন মো. সাদি উর রহিম জাদিদ আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে ইবিতে আলোচনা সভা জামায়াতের মনোনয়নে কে এই হিন্দু প্রার্থী

ঢাকায় আয়নাঘর পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ১০৪ বার দেখা হয়েছে
Yunus visits Aynaghar,ঢাকা, প্রধান উপদেষ্টা, মুহাম্মদ ইউনূস, র‍্যাব, ডিজিএফআই, গোপন বন্দীশালা, টর্চার সেল, গুম কমিশন, নির্যাতন, গণমাধ্যম, মানবিকতা, নৃশংস অত্যাচার, আইয়ামে জাহেলিয়ার, বন্দীশালা, গুমের শিকার, আইসিটির চিফ প্রসিকিউটর, তাজুল ইসলাম, খুপরি, মানবিক অধিকার, বিচারের আওতায়,আয়নাঘর পরিদর্শন
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস আয়নাঘর পরিদর্শন করছেন, ছবি: প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ

আজ বুধবার ঢাকার তিনটি এলাকায় র‍্যাব ও ডিজিএফআইয়ের গোপন বন্দীশালা ও টর্চার সেল ( আয়নাঘর পরিদর্শন ) পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ছয় জন উপদেষ্টা, দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমকর্মী, আইসিটির চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম, গুম কমিশনের সদস্য ও গুমের শিকার আট জন ব্যক্তি।

আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে প্রধান উপদেষ্টা গণমাধ্যমের সামনে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, “যা দেখেছি তা বর্ণনা করার মতো নয়, এটি অবর্ণনীয়। যদি বর্ণনা করতেই হয়, তবে বলবো এটি এক বিভৎস দৃশ্য। মানবিকতা থেকে বহু দূরে এসব কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়েছে। গুমের শিকার যারা বেঁচে আছেন, তারা যে অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন, তা অবিশ্বাস্য এবং নৃশংস অত্যাচারের চিত্র তুলে ধরে। বিনাদোষে তুলে এনে টর্চার করা হয়েছে। এটা কি আমাদের সমাজ? এই সমাজই কি আমরা গড়েছিলাম?”

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “গত সরকার সর্বক্ষেত্রে আইয়ামে জাহেলিয়ার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করেছে, এই বন্দীশালা ও নির্যাতন কেন্দ্র তার একটি নমুনা। যে খুপরির মধ্যে বন্দীদের রাখা হয়েছে, গ্রামে মুরগির খাঁচাও তার চেয়ে বড়। মাসের পর মাস, বছরের পর বছর তাদের এভাবে বন্দী করে রাখা হয়েছে, ন্যূনতম মানবিক অধিকার থেকেও তারা বঞ্চিত।”

এটি আমাদের সবার ব্যর্থতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যারা এসব কর্মকাণ্ড চালিয়েছে, তারা আমাদেরই সন্তান, ভাই, আত্মীয়। আমরা যদি এই সমাজকে নিপীড়নের এই চূড়ান্ত রূপ থেকে বের করে আনতে না পারি, তাহলে সমাজ টিকে থাকতে পারবে না।”

প্রধান উপদেষ্টা গুম কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “তারা কোদাল হাতে দেয়াল ভেঙে এসব টর্চার সেল আবিষ্কার করেছে। এই নির্যাতনের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে, অন্যথায় আমরা এই অভিশাপ থেকে মুক্তি পাব না।”

  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর সর্বশেষ নিউজ পড়তে ক্লিক করুন: সর্বশেষ
  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর ফেসবুক পেজটি ফলো করুন: dailysabasbd

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT