নোটিশ:

দুদকের তদন্তে ‘ টিউলিপস টেরিটরি ’ নামের বিলাসবহুল রিসোর্ট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৫৮ বার দেখা হয়েছে
Tulip Territory
Tulips Territory

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গাজীপুর  কানাইয়া গ্রামে অবস্থিত একটি বিলাসবহুল রিসোর্ট নিয়ে তদন্ত করছে, যার প্রবেশপথে লেখা রয়েছে ‘ টিউলিপস টেরিটরি ’। অভিযোগ উঠেছে, এই জমি দখল করা হয়েছে।

ব্রিটিশ লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের পরিবারের মালিকানাধীন এই বিশাল এস্টেটের কিছু অংশের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও লেবার পার্টি দাবি করেছে, কেবল একটি ছোট অংশেই এমপির নাম রয়েছে।

দুদক জানিয়েছে, তারা এই পারিবারিক অবকাশ যাপনের বাড়িটির বৈধতা খতিয়ে দেখছে। এস্টেটের মালিক টিউলিপ সিদ্দিকের বাবা শফিক আহমেদ সিদ্দিক। তবে টিউলিপ সিদ্দিক নিজে এই এস্টেটের মালিক নন বলে জানা গেছে।

গত মাসে টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটিশ সরকারের ট্রেজারি মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। কারণ, প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের নৈতিকতা উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস জানান, তিনি ভুলভাবে জনগণকে বিভ্রান্ত করেছেন। এটি একটি ফ্ল্যাট উপহার গ্রহণের বিষয়ে, যা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তির কাছ থেকে পেয়েছিলেন।

টিউলিপ সিদ্দিক বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি। শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তবে গত আগস্টে সহিংস বিক্ষোভের পর তাকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়। তার শাসনামলে বিরোধীদের ওপর নিপীড়নের অভিযোগ উঠে।

টিউলিপ পরিবারের বাগানবাড়ি

তথ্য অনুযায়ী, এস্টেটটির মোট আয়তন আট বিঘা (৩.৩ একর), যা তার বাবার নামে রেজিস্টার্ড। তবে স্থানীয়দের মতে, সংরক্ষিত এলাকাটি আরও বড়। এস্টেটটিতে একটি গোলাপি ডুপ্লেক্স বাড়ি, টিনের ঘর, তালগাছ, একটি পুকুর এবং কাঠের নৌকা রয়েছে। কিন্তু এখন তা পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে এবং কিছু অংশে আগুনের চিহ্ন দেখা গেছে।

এএসসি জানিয়েছে, তারা এস্টেটটির জমি দখল ও অপ্রকাশিত সম্পদের বিষয়টি তদন্ত করছে। একই সঙ্গে শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার সম্পত্তিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

একজন এএসসি কর্মকর্তা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম “দ্যা টেলিগ্রাফ” কে বলেন, ‘‘স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, কিছু প্লট দখল করা হলেও সেগুলোর আইনি নিবন্ধন হয়নি। এটি সাধারণত ভূমি দখল ও কর ফাঁকির কৌশল হিসেবে ব্যবহৃত হয়।’’

স্থানীয়রা বলছেন, টিউলিপ সিদ্দিক শেষবার করোনার আগে এসেছিলেন, তবে আগে বছরে একবার আসতেন।

লেবার পার্টি জোর দিয়ে বলেছে, ‘টিউলিপস টেরিটরি’ এস্টেটের আনুষ্ঠানিক নাম নয়। তবে দ্যা টেলিগ্রাফ -এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি ছিল একমাত্র প্রবেশদ্বার, অন্য প্রবেশপথ নির্মাণকাজের কারণে বন্ধ ছিল।

এএসসি আরও তদন্ত করছে, টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সঙ্গে একটি পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পে ৪ বিলিয়ন পাউন্ডের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে এবং তিনি পরিবারকে বেআইনিভাবে জমি বরাদ্দ পেতে সহায়তা করেছেন কিনা।

টিউলিপ সিদ্দিকের একজন মুখপাত্র বলেন, “এই অভিযোগগুলোর কোনো প্রমাণ নেই। টিউলিপ সিদ্দিককে এ বিষয়ে কেউ যোগাযোগ করেনি এবং তিনি সব অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেন।’’

  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর সর্বশেষ নিউজ পড়তে ক্লিক করুন: সর্বশেষ
  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর ফেসবুক পেজটি ফলো করুন: dailysabasbd

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT