টেলিভিশনে সরকারি দখলটা মাত্রাতিরিক্ত হওয়ায় জনপ্রিয়তা হারানোর মূল কারণ: আবুল হায়াত - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
তুরস্কের দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কুবির সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষর কওমি ডিগ্রিধারীদের জন্য কাজী হওয়ার দরজা খুলল; আরও সরকারি খাত উন্মুক্তের দাবি সীমান্তে তীব্র গুলি বিনিময়, পাকিস্তান–আফগানিস্তান উত্তেজনা চরমে জাককানইবিতে সমুদ্র ও জলবায়ু–বিষয়ক ‘Exploring the Blue Earth’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত দুধকুমার নদে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে এসিল্যান্ডের হস্তক্ষেপ, স্বস্তিতে তীরবর্তী বাসিন্দারা ইবিতে জুলাই বিপ্লববিরোধী অভিযোগে ফের ৯ শিক্ষক বরখাস্ত নানিয়ারচর জোন (১৭ই বেংগল) এর মানবিক উদ্যো‌গে বিনামূল্যে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রথম নির্বাহী পরিচালক হলেন মো. সাদি উর রহিম জাদিদ আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে ইবিতে আলোচনা সভা জামায়াতের মনোনয়নে কে এই হিন্দু প্রার্থী

টেলিভিশনে সরকারি দখলটা মাত্রাতিরিক্ত হওয়ায় জনপ্রিয়তা হারানোর মূল কারণ: আবুল হায়াত

বিনোদন ডেস্ক।
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ২৩১ বার দেখা হয়েছে
টেলিভিশনে সরকারি দখলটা মাত্রাতিরিক্ত

বিটিভি এই উপমহাদেশের প্রথম টেলিভিশন চ্যানেল এবং পৃথিবীর প্রথম বাংলা চ্যানেল হিসেবে একটি অনন্য মর্যাদা বহন করে। ১৯৬৪ সালে টেলিভিশনের যাত্রা শুরু হলে আমরা তখন ছাত্র। টেলিভিশনে গান ও নাটক দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে ভাবতাম, যদি আমি এখানে অভিনয় করতে পারতাম! ১৯৬৬ সালে অডিশন দিয়েও ব্যর্থ হই, যা আমাকে হতাশ করেছিল। তবে ১৯৬৭ সালে গ্রুপ থিয়েটারের মাধ্যমে প্রথম টেলিভিশনে অভিনয় শুরু করি। প্রথম নাটক ছিল ‘ইডিপাস’। সেখান থেকে বিটিভির সঙ্গে যে সম্পর্ক গড়ে উঠল, তা আজও টিকে আছে।

বিটিভি হলো বাংলাদেশের টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির ভিত্তি। এখান থেকে অসাধারণ সব অনুষ্ঠান তৈরি হয়েছে, যা প্রাইভেট চ্যানেলগুলো অনুকরণ করেছে। বিটিভির গর্বের জায়গা এখানেই। বর্তমান অনেক জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব বিটিভি থেকেই উঠে এসেছেন এবং তাদের অভিজ্ঞতা বেসরকারি চ্যানেলগুলোকেও সমৃদ্ধ করেছে।

বিটিভি থেকে আবদুল্লাহ আল মামুন, আতিকুল হক চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান, নওয়াজিশ আলী খানসহ অনেক প্রযোজক টেলিভিশন শিল্পে অসামান্য অবদান রেখেছেন। তাঁদের হাত ধরে বিটিভি থেকে অসংখ্য প্রতিভা উঠে এসেছে, যারা আজও মিডিয়ার আকাশে তারকার মতো জ্বলজ্বল করছেন। তবে আজকের দিনে এসে বিটিভির সেই গৌরব আমরা ধরে রাখতে পারিনি।

সরকারি প্রভাব যখন প্রকট হয়ে উঠল, তখন থেকেই বিটিভির মানের অবনতি ঘটতে শুরু করে। দপ্তরীয় বিধিনিষেধ এবং রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ বিটিভির সৃজনশীলতাকে ব্যাহত করেছে। অনেক ক্ষেত্রে শুধুমাত্র দলীয় স্বার্থে অনুষ্ঠান তৈরি করা হয়েছে, যা দর্শকদের আকর্ষণ হারিয়েছে। স্যাটেলাইট চ্যানেলের আগমনের আগে দর্শক বাধ্য হয়ে বিটিভি দেখতেন, কিন্তু পরবর্তীতে বিকল্প পাওয়ায় তারা বিটিভি থেকে সরে যান।

বিটিভির হীরকজয়ন্তীতে আমাদের সংকল্প করা উচিত এটিকে তার পুরোনো গৌরবে ফিরিয়ে আনার। বিটিভিকে সৃজনশীল কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে, দাপ্তরিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা যাবে না। এটি এমন একটি জায়গা হওয়া উচিত যেখানে মানুষ সৃষ্টির আনন্দ খুঁজে পাবে।

পুরোনো অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের পরামর্শ নিয়ে নতুন প্রজন্মকে তৈরি করা দরকার। সংবাদের মান উন্নত করতে হবে, অনুষ্ঠান নির্বাচনে মান বজায় রাখতে হবে। রাজনৈতিক প্রভাব থেকে বেরিয়ে এসে শিল্পীদের সৃজনশীল কাজকে গুরুত্ব দিতে হবে।

আমি বিশ্বাস করি, সৃজনশীলতার দিকে মনোযোগ দিলে বিটিভি আবারো জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। আমার আন্তরিক শুভকামনা, বিটিভি তার হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার করবে এবং বাংলাদেশের টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির মাইলফলকহয়ে থাকবে।

  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর সর্বশেষ নিউজ পড়তে ক্লিক করুন: সর্বশেষ
  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর ফেসবুক পেজটি ফলো করুন: dailysabasbd

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT