
০৮ আগষ্ট ২০২৫
গতকাল (৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের স্টেশন রোডের হোটেল সৈকতে অনুষ্ঠিত বিভাগীয় সমাবেশে এ ঘোষণা দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কফিল উদ্দিন আহমেদ। সমাবেশের আয়োজন করে বৃহত্তর চট্টগ্রাম পণ্য ও যাত্রী পরিবহন মালিক ফেডারেশন এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটি।
সমাবেশে জানানো হয়, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের আট দফা দাবি ইতোমধ্যে যোগাযোগ উপদেষ্টার কাছে পেশ করা হয়েছে। উপদেষ্টা দুটি দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিলেও বাকি দাবিগুলো নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
কফিল উদ্দিন আহমেদ বলেন, “সরকারকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি—১১ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সব দাবি না মানলে ১২ আগস্ট ভোর ৬টা থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে। এর পর আর পিছু হটার সুযোগ নেই।”
তিনি ‘সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮’-এর ৯৮ ও ১০৫ ধারা সংশোধনের দাবি তুলে বলেন, “দুর্ঘটনার মামলায় জামিন দেওয়া আদালতের এখতিয়ার, আইন করে তা আটকে দেওয়া সংবিধানবিরোধী।” বাণিজ্যিক যানবাহনের ব্যবহারের মেয়াদ নিয়ে তিনি আরও বলেন, “২০ বছরের বেশি পুরোনো গাড়ি সরিয়ে দিলে দেশের ৮০ শতাংশ গাড়ি রাস্তায় নামতে পারবে না। ফিটনেস থাকা গাড়িকে চলার সুযোগ দিতে হবে।”
পরিবহন খাতের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সরকার যদি দাবিগুলো না মানে, আন্দোলনের পরিধি আরও বিস্তৃত হবে এবং “একবার ধর্মঘট শুরু হলে আর পিছু হটার প্রশ্নই ওঠে না।”