খবর পেয়ে দমকলের একাধিক ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ কুমার ভার্মা জানান, ঘটনাস্থল থেকে ১৪টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ তদন্তে একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এখনো হতাহতের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হোটেলের ভেতরে যথাযথ অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না।
ঘটনার পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “আমি রাজ্য প্রশাসনের কাছে অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার, চিকিৎসা ও মানবিক সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থার কঠোর পর্যবেক্ষণ জরুরি।”
এদিকে পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার এ ঘটনায় কলকাতা কর্পোরেশনের তীব্র সমালোচনা করেছেন। বার্তা সংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, “এটি একটি মর্মান্তিক ঘটনা। অনেক মানুষ এখনো ভবনের ভেতরে আটকা পড়ে আছেন। হোটেলে কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। কর্পোরেশন কী করছে, আমি বুঝতে পারছি না।”
হোটেলটিতে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত ঘটল, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তদন্ত চলছে।