নোটিশ:
শিরোনামঃ

জরুরি অবতরণে নাগপুরে ভোগন্তিতে দুবাইগামী বিমান যাত্রীরা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ১৬৩ বার দেখা হয়েছে
নাগপুরে জরুরী অবতরণে ভোগান্তিতে বিমানের যাত্রীরা
নাগপুরে জরুরী অবতরণে করে বিমান একটি ফ্লাইট। ভোগান্তিতে যাত্রীরা
গত বুধবার ঢাকা থেকে দুবাই যাচ্ছিলো- বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং-৭৭৭। যাত্রার প্রায় দুই ঘণ্টা পর ভারতের নাগপুরে জরুরি অবতরণ করে। এরপর ২৪ ঘন্টারও বেশি সময় বা দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষা, অনিশ্চয়তা এবং দুর্ভোগের পর বিকল্প উড়োজাহাজে যাত্রীরা তাদের গন্তব্যে পৌঁছান। বিমানটিতে ৩৯৬ জন যাত্রী এবং ১২ জন ক্রু ছিল।
পাওয়ার ব্যাংকে জন্য আগুন লাগার কথা বললেও সেটি অবান্তর মনে করছে যাত্রীরা। পাওয়ার ব্যাংক আছে কিনা স্ক্যান করা হয় টার্মিনালে ইমিগ্রেশন এর সময়ই। সেটা চেক না করা গাফিলতি। পাওয়ার ব্যাংক থাকে হ্যান্ড লাগেজে। এছাড়া পাওয়ার ব্যাংক থেকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা তেমন নেই। কিভাবে আগুণ লেগেছে তা স্পষ্ট করা হচ্ছে না।
দুবাই পৌঁছে যাত্রীরা যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। তবে অনেকেই যাত্রার দুর্ভোগের কথা জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বুধবার রাত ৮টা ৫৩ মিনিটে বিমানের ফ্লাইট বিজি-৩৪৭ ঢাকা থেকে রওনা হয়। রাত প্রায় পৌনে ১১টায় মাঝ আকাশে ক্যাপ্টেন একটি ‘টেকনিক্যাল সিগন্যাল’ পেলে কাছাকাছি নাগপুর এয়ারপোর্টে জরুরি অবতরণ করেন। আটকে পড়া ৩৯৫ যাত্রীকে পৌঁছাতে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার পর আরেকটি বোয়িং-৭৭৭ নাগপুরে পৌঁছায় এবং রাতে যাত্রীদের দুবাইয়ে নিয়ে যায়।
মৌলভীবাজারের যাত্রী জুবায়ের আহমদ জানান, নাগপুর এয়ারপোর্টে নামার পর যাত্রীরা হয়রানির শিকার হন। তাদের বাসে করে এয়ারপোর্টের এক প্রান্তে আটকে রাখা হয়। বাসে জায়গা না পেয়ে অনেককে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এমনকি বাথরুমেও যেতে দেওয়া হয়নি।

একজন মহিলা যাত্রীর ভোগান্তির অভিযোগ  ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে চলে এসেছে।জুবায়ের বলেন, “দুই ঘণ্টা পর আমাদের এয়ারপোর্ট টার্মিনালে নিয়ে যাওয়া হয়। সারা রাত লাউঞ্জে থাকার সময় বিমান কর্তৃপক্ষ কোনো খোঁজ নেয়নি। সকাল ১০টার দিকে ব্রেকফাস্ট দেওয়া হয়।”

বিমানের বিলম্ব নিয়ে তিনি বলেন, “রানওয়ের জরুরি রক্ষণাবেক্ষণের কারণে আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়, যা বিশেষ করে শিশু, নারী ও বয়স্ক যাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়ায়।”
তিনি জানান, বুধবার সকাল ৯টায় মৌলভীবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন এবং ৩৬ ঘণ্টা পর দুবাই পৌঁছাতে সক্ষম হন।

আরো পড়ুন: দুবাইগামী বিমান বাংলাদেশ ফ্লাইটের ভারতে জরুরি অবতরণঢাকা চেম্বার অব কমার্সের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি রাজীব হাসান চৌধুরী নাগপুরে জরুরি অবতরণকে ‘অগ্নিপরীক্ষা’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, “বিমানের কার্গো কেবিনে অ্যালার্ম বাজায় জরুরি অবতরণ করতে হয় নাগপুরে।”

মোহাম্মদ রাকিব শুভ জানান, নাগপুরে জরুরি অবতরণের ঘোষণা শোনার পর যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে নাগপুর এয়ারপোর্টে স্বাভাবিকভাবেই বিমান অবতরণ করে এবং সেখানে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া ছিল।

বিমানের দুবাই রিজিওনাল ম্যানেজার সাকিয়া সুলতানা জানান, “কার্গো কেবিন থেকে ফায়ার অ্যালার্ম আসায় জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উদ্ধারকারী উড়োজাহাজ বৃহস্পতিবার রাতে যাত্রীদের নিয়ে নিরাপদে দুবাই পৌঁছায়।”
যাত্রীরা ভোগান্তির অভিযোগ করলেও বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক বোসরা ইসলাম বলেন, “নাগপুর এয়ারপোর্টে যাত্রীদের সবধরনের সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে এবং বিকল্প উড়োজাহাজে তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।”
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এক বিজ্ঞপ্তিতে দুবাইগামী বিমান জরুরি অবতরণ এর  জন্য দুঃখ প্রকাশ করে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT