“প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়লের বিরুদ্ধে যৌথ তদন্ত সদর দফতরের অনুরোধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ও তল্লাশি পরোয়ানা আজ সকালে জারি করা হয়েছে,” যৌথ তদন্ত সদর দফতর জানিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার একটি আদালত অভিশংসিত এবং সাময়িক বরখাস্তকৃত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়লের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে, যা তার স্বল্পস্থায়ী সামরিক শাসন চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টার সাথে সম্পর্কিত বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন।
“প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়লের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা এবং তল্লাশি পরোয়ানা, যা যৌথ তদন্ত সদর দফতর দ্বারা অনুরোধ করা হয়েছিল, তা আজ সকালে জারি করা হয়েছে,” মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যৌথ তদন্ত সদর দফতর।
উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি তদন্ত দপ্তর নিশ্চিত করেছে যে সিওল পশ্চিম জেলা আদালত এই পরোয়ানা অনুমোদন করেছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে এটি প্রথমবার কোনো ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
সোমবার, দক্ষিণ কোরিয়ার তদন্তকারীরা এই মাসের স্বল্পস্থায়ী সামরিক শাসন চাপিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ইউনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা চেয়েছিলেন।
ইউন সম্ভাব্য বিদ্রোহের অভিযোগে ফৌজদারি তদন্তের মুখোমুখি রয়েছেন।
এটি দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন ঘটনা, যেখানে প্রথমবারের মতো কোনো ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হলো।
ঐতিহাসিক এই পরোয়ানা জারির পর দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
তদন্তকারীরা দাবি করেছেন, ইউন সুক ইয়লের সামরিক শাসন চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা এবং এর সঙ্গে জড়িত অন্যান্য কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
এর আগে, ইউনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগে ফৌজদারি তদন্ত শুরু হয়, যার কারণে তার বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করা হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ এবং আন্তর্জাতিক মহল উক্ত বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে মনোযোগ দিচ্ছে, এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এটি দেশটির গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং শাসকশক্তির ওপর প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন।
Leave a Reply