পায়রার মতো দেখতে হলেও স্বভাব-চরিত্রে কিছুটা ভিন্ন হরিয়াল পাখি। গঠনগত দিক থেকে চোখ, ঠোঁট ও পায়ের আকৃতি পায়রার মতো হলেও এই পাখিদের আচরণে থাকে এক ধরনের আত্মগরিমা। মাটিতে না নামার অভ্যাসের জন্য অনেকেই একে “অহংকারী” পাখি বলে থাকেন।
প্রকৃতি ও খাদ্যাভ্যাস
ইংরেজিতে Yellow Footed Green Pigeon নামে পরিচিত হরিয়ালের বৈজ্ঞানিক নাম Phoenicoptera। এরা সাধারণত ফলাহারী পাখি, ধান-গম জাতীয় শস্যে আগ্রহ দেখায় না। পাকা ফল তাদের প্রধান খাবার। দলবদ্ধ হয়ে গাছে বসে দ্রুত ফল খেয়ে ফেলে।
পায়রারা গৃহপালিত হলেও হরিয়ালদের দেখা মেলে বন-জঙ্গলের নিরিবিলি পরিবেশে। সবুজাভ হলুদ রঙের পালকের জন্য সহজেই গাছের পাতার সঙ্গে মিশে যেতে পারে তারা। গড় আয়তনে পায়রার মতো হলেও কিছু হরিয়ালের গায়ে লালচে খয়েরি আভাও দেখা যায়।
চাঁদে বসতে চলেছে ৪জি নেটওয়ার্ক
প্রজনন ও অস্তিত্ব সংকট
হরিয়ালের বাসা বানানোর দক্ষতা তুলনামূলক কম। খড়কুটো দিয়ে তৈরি বাসায় ফাঁকফোকর বেশি থাকায় অনেক ডিম নিচে পড়ে নষ্ট হয়ে যায়। ডিম ফুটে বাচ্চা বের হলে মা হরিয়াল তাদের ফল খাইয়ে বড় করে। বিপদ থেকে বাঁচাতে কচি পাতা দিয়ে বাচ্চাদের আড়াল করে রাখে।
এই পাখির ডাক পায়রার মতো নয়, বরং এরা একধরনের শিসের মতো শব্দ করে—”কুই… কুউ…উ…”। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, বন উজাড় ও ফলবতী গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় হরিয়ালের অস্তিত্বও হুমকির মুখে পড়ছে। এ সুন্দর পাখিদের রক্ষা করতে প্রয়োজন সচেতনতা ও প্রকৃতির প্রতি যত্নশীল মনোভাব।
ফেসবুক পেজ: dailysabasbd