হিযবুত তাহরীর নিষিদ্ধ হয়েছিল কেন? - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
সাকিব ঝড়ে প্রথম জয়ের আনন্দ মায়ামি ব্লেজের ইউরোপীয় তিন দেশকে হুমকি-চাপের পুরনো কৌশল ত্যাগের আহ্বান ইরানের এসএসসিতে ১২৩০ নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়েছে নাগেশ্বরীর তুশিন পর্যায়ক্রমে সেনা প্রত্যাহারে একমত হামাস–ইসরায়েল প্রবল প্রতিবাদের মুখেও শেষপর্যন্ত ঢাকায় চালু হলো জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন অফিস চট্টগ্রাম সমিতি, ঢাকা আয়োজিত জুলাই বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ‘তুমি কে আমি কে, জঙ্গী জঙ্গী; কে বলেছে কে বলেছে, স্বৈরাচারের সঙ্গী’ স্লোগানে প্রকম্পিত বাইতুল মোকাররম জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রতীকী ম্যারাথনে যুব উপদেষ্টার অঙ্গীকার বার্সেলোনায় ‘সবার জন্য কাগজ চাই’ দাবিতে অনিয়মিত অভিবাসীদের বর্ণবাদবিরোধী প্রতিবাদ পিনাকীর আবেগঘন বার্তা – হাটহাজারীর ছাত্ররাই বিপ্লবের রক্ষক

হিযবুত তাহরীর নিষিদ্ধ হয়েছিল কেন?

জিম তানভীর
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০২৫
  • ১২৯ বার দেখা হয়েছে
ছবি: হিযবুত তাহরীরের ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত
হিযবুত তাহরীর প্রসঙ্গে।
১। ইসলামের দীর্ঘ ইতিহাসজুড়ে মুসলিমরা খিলাফতের অধীনে ছিল এবং ইসলামী শাসনব্যবস্থা প্রতিটি মুসলিমের আকাঙ্ক্ষা। শরীয়াহ ও খিলাফতের আকাঙ্ক্ষা কখনোই অপরাধ হতে পারে না। বরং এটিকে ক্রিমিনালাইয করার অর্থ ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসকেই অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা।
২। সেক্যুলার রাষ্ট্রের আর্মিকে দিয়ে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার কৌশলগতভাবে বাস্তবসম্মত না। মানহাজ (কর্মপদ্ধতি) হিসেবে সঠিক না। সমাজে ইসলামী শাসনের বাস্তবায়ন একটি দীর্ঘমেয়াদী ও কম্প্রিহেনসিভ প্রক্রিয়া, যা স্রেফ সামরিক ক্যু দ্বারা অর্জন করা সম্ভব না। বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই ধরনের আলাপ বোধগম্যভাবেই জনমনে অনর্থক ভয় ও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করতে পারে, যা ইসলামী কার্যক্রমের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে।
৩। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই ভূখণ্ডের মুসলিমদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো সামাজিক শক্তি অর্জন এবং কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষের মোকাবিলা করা। জনপরিসরে ইসলাম ও মুসলিম পরিচয়ের অবস্থান দৃঢ় ও টেকসই করতে এর ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
৪। হিযবুত তাহরীরের ইতিহাসে সশস্ত্র কর্মকাণ্ডের নজির নেই। ফলে তাদের মিলিট্যান্ট সংগঠন হিসেবে আখ্যা দেওয়ার কোনো গ্রাউন্ড নেই। দলটিকে নিষিদ্ধ করার মূল কারণ ছিল পিলখানা গণহত্যার জন্য হাসিনা সরকার ও ভারতকে দায়ী করে লিফলেট বিতরণ ও রাজনৈতিক প্রচারণা। আজ পিলখানার ঘটনার সাথে হাসিনা এবং ভারতের সম্পৃক্ততার বিষয়টি অধিকাংশ মানুষই বলছে। বর্তমানে যদি তারা প্রচলিত আইনের আওতায় থেকে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে চায়, তাহলে তাদের সে অধিকার অস্বীকার করার পক্ষে গ্রহণযোগ্য আইনি বা নৈতিক ভিত্তি কী, তা স্পষ্ট না।
৫। ইসলামী শাসন চাওয়ার কারনে কোনো সংগঠনকে ‘সন্ত্রাসী’ বা ‘জঙ্গি’ আখ্যা দিয়ে ডিহিউম্যানাইয করা গ্রহণযোগ্য না। এই প্রচেষ্টার নিন্দা জানাই।
৬। সামগ্রিকভাবে বিবেচনা করলে বর্তমান প্রেক্ষাপটে সামরিক বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে কোনো কর্মসূচির বিন্দুমাত্র যৌক্তিকতা নেই। এই ধরনের কার্যক্রম জনপরিসরে শংকা, অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা তৈরি করতে পারে। ইসলাম ও মুসলমানদের স্বার্থ, নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ বিবেচনায় কার্যক্রমের পরিকল্পনা করা উচিত।
জিম তানভীরের ফেসবুক পোস্ট থেকে সংগৃহীত

  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর সর্বশেষ নিউজ পড়তে ক্লিক করুন: সর্বশেষ
  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর ফেসবুক পেজটি ফলো করুন: dailysabasbd

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT